নতুন করে নির্মিত হলো পেলের সেই অবিশ্বাস্য গোল
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৭:৫১,অপরাহ্ন ০৭ অক্টোবর ২০১৪
গোল তিনি কম করেননি। নামের পাশে আছে এক হাজারেরও বেশি গোল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গোলই আছে, যেগুলো নান্দিকতায়, সৌন্দর্যে অনেকের চোখেই সর্বকালের সেরা।
সমস্যা হলো, পেলের যুগে তো আর এখনকার মতো প্রযুক্তির সুবিধা ছিল না। ফলে পেলের বেশির ভাগ অসাধারণ গোলেরই কোনো ভিডিও নেই। এর মধ্যে ১৯৫৯ সালের ২ আগস্ট সান্তোসের হয়ে অ্যাটলেটিকো জুভেন্টাসের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটা গোল করেছিলেন পেলে। পেলে নিজেই যে গোলটিকে বলের তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুন্দর গোল।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে এই গোলটি করেছিলেন পেলে। তাঁর আরও অনেক গোলের পর এটিরও কোনো ভিডিও নেই। যা আছে, এই গোলটি ঘিরে রাশি রাশি গল্প আর কিংবদন্তিগাথা। পেলে খুব করে চাইছিলেন সেই গোলটির যেন ভিডিও বানানো হয়। অবশেষে অ্যানিমেশন প্রযুক্তির সাহায্যে পেলের সেই গোলটি নতুন করে নির্মাণ করা হলো। ফলে এত দিন যাঁরা পেলের গোলটির গল্পই শুনে এসেছেন, এখন চাইলে দেখে নিতে পারেন সেটির ভিডিওও।
ডান প্রান্ত থেকে ডি-এর প্রান্তে ওত পেতে থাকা পেলেকে ক্রসটা করেছিলেন সান্তোস-সতীর্থ। বলটি পায়ে আসা মাত্রই ফ্লিক করে একজন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেন পেলে। এরপর মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে আলতো টোকা দিয়ে শূন্যে ভাসিয়ে কাটান বক্সের ভেতরের আরেক ডিফেন্ডারকে। শূন্য থেকে পড়তি বলটাকে মাটিতে পড়তে না দিয়ে আবারও আলতো টোকা দিয়ে কাটান আরেক ডিফেন্ডারকে। চলে আসেন গোলরক্ষকের একেবারে সামনে। এবার গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটি লুফে নিতে। কিন্তু আবারও বলটিকে মাটিতে পড়তে না দিয়ে আলতো টোকায় শূন্যে ভাসান পেলে। ফাঁকি দেন গোলরক্ষককে। এরপর পড়তি বলে হেড করে জড়িয়ে দেন জালে।
সাধারণত খেলোয়াড়েরা এভাবে শূন্যে বল নিয়ে লোফালুফি করেন অনুশীলনে। যেটিকে কিপি-আপি বলা হয়। কিন্তু পেলে টানা চারবার কিপি-আপি করেছিলেন ম্যাচের মধ্যেই। সেখান থেকে করেছিলেন গোলও!