নগরীতে চলছে ২০ দলীয় জোটের নিরুত্তাপ হরতাল
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৪:১৫,অপরাহ্ন ২০ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: নগরীতে চলছে ২০ দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার উত্তাপহীন হরতাল। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে নগরীর কোথাও কোনো সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া সকাল থেকে বিএনপির নাসিমন ভবন কার্যালয়েও কোনো নেতাকর্মীর আগমন চোখে পড়েনি। বিকেল পর্যন্ত হরতালে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি নগরীতে। তবে নাশকতার আশঙ্কা নিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে নগরবাসী।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে নগরীর সড়কে যান চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে গণপরিবহন ও ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি চলাচল বাড়তে শুরু করে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিতি ছিলোও স্বাভাবিক । তবে সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন নগর ছেড়ে যায়নি।
এদিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা এ হরতালে দুবৃর্ত্তদের নাশকতা ঠেকাতে ভোর থেকে নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব, গোয়েন্দা ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার সিটিজি নিউজকে বলেন, দুর্বৃত্তরা যাতে নগরীর কোথাও নাশকতা চালাতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা সামলে নেয়ার জন্য এবার বিশেষ কৌশল ব্যবহার করা হবে। তাছাড়া এবারও পুলিশকে সহায়তা করতে নগরীতে ছয় প্লাটুৃন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
তবে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরও নাশকতার শঙ্কা কাটাতে পারেনি নগরবাসীর। অপ্রীতিকর ঘটনা ও সহিংসতা আশঙ্কা নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন সকলে। টাইগারপাস মোড়ে রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজে বেরিয়েছি। অবরোধ হরতালে কাজ বন্ধ করে বসে থাকলে কি আর সংসার চলবে?। কিন্তু সমস্য হলো কোথাও কোনো শব্দ হলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। মনে হচ্ছে, ককটেল ফাটল।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. হাছান চৌধুরী বলেন,‘নগরীতে যান বাহন ভাঙ্চুর ও গাড়ি পোড়ানো ঠেকাতে পুলিশের স্পেশাল ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া স্পর্শকাতর পাঁচটি উপজেলায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে।
বিএনপির নিরুত্তাপ হরতাল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সহিংস আন্দোলনে বিএনপি বিশ্বাসী নয়। তাই ৩৬ ঘণ্টার এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হবে।