ধসের আশঙ্কায় সুন্দরবন হোটেল খালি
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৭:১১,অপরাহ্ন ২৭ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: ধসে যাওয়ার আশঙ্কায় বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক-সংলগ্ন সুন্দরবন হোটেল থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সুন্দরবন হোটেল ঘেঁষে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড টুইন টাওয়ারের জন্য করা পাইলিংয়ের গর্তে হোটেলের সীমানা প্রাচীর ও সড়কের একাংশ ধসে পড়ে। এতে হোটেলটি ঝুঁকির মুখে পড়ে। এরপরই হোটেলটি খালি করে দিতে বলে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক শাকিল নেওয়াজ সকাল ১০টার দিকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সুন্দরবন হোটেল থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়েছি। কারণ ভবনটির ভেতরে কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এখানকার মাটির যে অবস্থা, এতে ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
হোটেলটির কয়েকজন কর্মী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ঘোষণার পরপরই তারা হোটেল থেকে সবাইকে নিরাপদে বের করে দিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক শাকিল নেওয়াজ বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞদের দ্রুত ঘটনাস্থলে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিজেকে নির্মাণাধীন ভবনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে শহীদুল হক নামের এক ব্যক্তি বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ করেই রাস্তার কিছু অংশ ধসে পাইলিংয়ের গর্তে গিয়ে পড়ে। ধসে পড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
পাইলিং করার সময় যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে শহীদুল দাবি করেন, যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাহলে ভেঙে পড়ল কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারব না, আমাদের ইঞ্জিনিয়ার আছেন, তাঁরা বলতে পারেন।’
ওই এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালা, বেশ কিছু ভ্যানরিকশা ও হকারদের দোকান ওই গর্তে পড়ে আছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা এসেছেন। এটি মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের এলাকার মধ্যে পড়ায় বিষয়টি তাঁরা ওই স্টেশনের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।