ধর্ষণ মামলায় হ্যাপির পিছুটান
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২২:১৩,অপরাহ্ন ০২ মার্চ ২০১৫
ঢাকা: ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলাটি আর চালাবেন না বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা হ্যাপী। রোববার রাতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরেনসিক রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না থাকা এবং রুবেলে ক্রিকেটীয় ইমেজের কারণেই হ্যাপির এই পিছুটান।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন নবাগত নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। মামলার এজাহারে তখন বলা হয়, জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার হ্যাপিকে ধর্ষণ করেছেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি এ মামলায় রুবেল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সে সময় দুইদিন কারাগারে থেকে জামিন পান রুবেল। এরপর তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যান।
এদিকে হ্যাপির ফরেনসিক রির্পোটেও ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সাখাওয়াত। হ্যাপির ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা ছিলো, ‘নো সাইন অব রিসেন্ট ফোর্সফুল সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স।’ অর্থাৎ জোর পূর্বক যৌন সম্পর্কের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
এমন অবস্থায় সাক্ষ্য প্রমাণের অভাব হ্যাপি অনেকটাই বেকায়দায় পরে যান। তাছাড়া নিজের ফিল্মি ক্যারিয়ার নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটা খেলতে যাওয়া রুবেল আগামী মাসেই দেশে ফিরছেন। তাই হ্যাপী এই সময়ের মধ্যেই সব কিছু মীমাংসা করে ফেলতে চাইছেন।
মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে হ্যাপি বলেন, ‘রুবেলকে আমি ভালোবাসি। তাই ভালোবাসার অধিকার ফিরে পাবার জন্যেই আদালতের দারস্থ হয়েছিলাম। এই মুহুর্তে সুযোগ থাকলে রুবেলের মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতাম। কিন্তু তা না থাকায়, তার বিরুদ্ধে আর কোন সাক্ষ্য প্রমাণ দাঁড় করাবো না।
তিনি আরো বলেন, সত্যি যদি রুবেল আমাকে ভালোবেসে থাকে তবে সত্যিই একদিন ফিরে আসবে। তবে আমি তাকে ভালোবেসে যাব। শুধু রুবেলকে দেখার জন্যে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি খেলাই দেখেছি।’