ধর্ষণ প্রমাণ করতে ভিডিও করলেন ধর্ষিতা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৪:৫০,অপরাহ্ন ১৬ নভেম্বর ২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
এবার ভারতে এক কলেজ ছাত্রীকে দিনের পর দিন সহবাসে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল। জানা যায়, চাকরির টোপ দিয়ে এই কলেজ ছাত্রীকে দিনের পর দিন সহবাসে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের হলদিবাড়ি ব্লকের প্রাক্তন সম্পাদক সহিদুল আলম প্রধান ওরফে কমলের বিরুদ্ধে।
ছাত্রীটির দাবি, পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা বলায় রীতিমতো হুমকি দিয়ে তার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেন সহিদুল। ওই ছাত্রী তখন মরিয়া হয়ে লোকলজ্জা উপেক্ষা করে ওই নেতার সঙ্গে তার সহবাসের ছবি ও কথোপকথন মোবাইল ফোনে ‘ভিডিও রেকর্ড’ করেন। যা দেখেই পুলিশ শেষ পর্যন্ত সহিদুলকে গ্রেফতার করেছে।
বিএ দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রীটির সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকাবাসী ও পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড় অংশ। তবে তার পর সহিদুলের উপর থেকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী। তাই ‘সাহসী’ মেয়ের চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে গোটা পরিবার।
শুক্রবার ওই ছাত্রী বলেন, আমাকে হুমকি আগেও অনেকবার দেওয়া হয়েছে। তাতে যদি ভয় পেতাম, তা হলে ঝুঁকি নিয়ে ভিডিও তুলতে পারতাম না। ওই ছাত্রীর শুভার্থীদের দাবি, সহিদুলকে বাঁচাতে তৃণমূলের কিছু নেতা সক্রিয়। তিনি বলেন, তাই বাড়ির সকলের ভয়ের কথা পুলিশকে জানিয়েছি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব জানান, অভিযুক্ত এখনও জেলে রয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সব রকম পদক্ষেপ করছে।
ঘটনার সূত্রপাত বছরখানেক আগে। ছাত্রীটি তখন এলাকার ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি জানান, সে সময় কলেজে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে তাকে আবেদন করার পরামর্শ দেন পূর্বপরিচিত সহিদুলই। ছাত্রীটির অভিযোগ, এর পর থেকেই চাকরির টোপ দিয়ে বারবার মদ খাইয়ে তার সঙ্গে সহবাস করেন সহিদুল। কিন্তু কলেজে ওই পদে অন্য একজনকে নিযুক্ত করা হবে জানতে পেরে ছাত্রীটি থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া মামলা করার সাহস পুলিশের নেই বলে হুমকি দেন সহিদুল। তার পরেই জমানো টাকা দিয়ে একটি থ্রি জি মোবাইল কেনেন ওই ছাত্রী। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সহিদুল তাকে ফের ডেকে পাঠালে তিনি মোবাইল ক্যামেরায় ঘটনা রেকর্ড করে নেন।
ওই ছাত্রীর দাবি, ১৭ অক্টোবর থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তা নিতে ইতস্তত করে। তিনি বলেন, তখন আমি আইসি-র ঘরে ঢুকে মোবাইলের ভিডিও চালিয়ে দেখালে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। সহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।