ধরিয়ে দিলেই ৪ লাখ!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩৮:৪৮,অপরাহ্ন ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
তথ্য প্রযুক্তি আইনে দাখিলকৃত মামলার প্রধান আসামি ফেরদৌস আলমকে ধরিয়ে দিলেই ৪ লাখ টাকা পুরস্কার! ফেরদৌস আলমের ছবিসহ এমন ঘোষণা সম্বলিত পোস্টারে ছেয়ে গেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়কসহ অলিগলি। প্রচারিত এ পোস্টারে প্রচারণাকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা না থাকলেও জানা যায়, পুরস্কার ঘোষণা সম্বলিত ওই পোস্টারের ছবিযুক্ত ফৌরদৌস আলম আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি।
মঙ্গলবার রাতে কেবা কারা ওই পুরস্কার ঘোষিত ছবি সম্বলিত পোস্টার উপজেলার রামগোপাল বাজার, পৌর এলাকার পামপ্রীতি সড়কের পামট্রি গাছ, শহীদ হারুন পার্ক সড়ক, কালিখলা চত্বরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের দেয়াল ও উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের দেয়ালে সাঁটিয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরকারী কোন সংস্থা বা বিভাগ থেকে ওই ছবি সম্বলিত কোন পোস্টার বা আসামি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এ ধরনের কোন পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে এ ধরনের পোস্টারের বিষয়টি উপজেলার জনমানুষের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর সংসদীয় আসনের সাংসদ ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য প্রকাশ, বিকৃত ছবি পোস্ট করার অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বাদী শাহাবুল আলম। এ মামলায় ফেরদৌস আলমসহ জেলা যুবলীগের সদস্য কামাল হোসেন, ছাত্রলীগ সমর্থক খালেদ হায়দার মারুফসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পরে মামলার প্রধান আসামি ফেরদৌস আলম উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নিলেও নিয়মিত হাজিরা না থাকায় গত ৮ নভেম্বর তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নি¤œ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে।
স্থানীয় সাংসদ ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের বিকৃত ছবি ফেইসবুকে পোস্ট বা প্রচারের ঘটনায় জড়িত নন জানিয়ে আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রিয় কমিটির সহসভাপতি ফেরদৌস আলম মুঠোফোনে বলেন, অন্য আইডি থেকে সাংসদের বিকৃত ছবি তাঁর আইডিতে ট্যাগ করা হয়েছে। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, যথা সময়ে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করব।