দুটি চোঁখ হারানোর পরও বাঁচতে চায় ছাতকের শিশু হুসাইন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১২:১৬,অপরাহ্ন ২৫ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: হুসাইন আহমদ। বয়স মাত্র ২ বছর। হুসাইন পৃথিবীর আলো দেখার আগেই সে যখন মায়ের গর্ভে ছিল তখনই তার পিতা দিনমজুর কালা মিয়া মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। হুসাইনের জন্মের কিছু দিন পর ধরা পড়ে তার বাম পার্শের চোঁখে একটি টিউমার। ধীরে ধীরে এটি বড় হয়ে এখন ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হুসাইনের দুটি চোঁখ অপারেশন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপরও বাঁচতে চায় হুসানইন। তাকে সুস্থ করে তুলতে হলে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্ত এই চিকিৎসা সম্পন্ন করতে হলে আরো প্রয়োজন প্রায় ২ লক্ষ টাকা। আর এই টাকা হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়।
হুসাইনের গ্রামের বাড়ি ছাতক উপজেলার কৃঞ্চনগর গ্রামে। তার মামার বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হুসেনপুর গ্রামের। ৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া ছোট্র শিশু হুসাইন এখন চিকিৎসার অভাবে মরতে বসেছে। স্বজনরা শেষ সম্বল যা ছিলো তা দিয়েই এপর্যন্ত হুসাইনের চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। কিন্ত এখন আর চিকিৎসা করানো তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসকরা পরামর্শ্বে সম্প্রতি ঢাকা ক্যান্সার হাসপাতালে অপারেশন করে হুসাইনের দুটি চোঁখ ফেলে দেওয়া হয়েছে। সে এখন পৃথীবির আলো দেখতে পাচ্ছে না। এরপরও তাকে সুস্থ রাখতে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যদি হুসাইনের চিকিৎসা অব্যাহত না থাকে তাহলে এই রোগ ধীরে ধীরে তার ব্রেইনে ছড়িয়ে পড়বে। আর তখন তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না। আর এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকার।
এদিকে হুসাইনের এই মারাত্মক অবস্থায় তার কান্না ও আহাজারীতে ভেঙে পড়েছেন স্বজনরাও। এখন কি করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেন তারা। চিকিৎসার অভাবে মরে যাবে এই শিশুটি তা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তাই হুসাইনকে বাঁচাতে তার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছেন হুনাইনের মা রাবেয়া বেগম।