দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের পরামর্শ নিজামীর
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৮:০৬,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী তার ছেলে ও আইনজীবীকে সুপ্রিমকোর্টে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন। শনিবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার সাথে ছেলে ও আইনজীবীরা দেখা করতে গেলে তিনি এ পরামর্শ দেন ।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।
এদিকে রায় ঘোষণার পরে নিজামীর সঙ্গে এই প্রথম তার ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেনসহ তিন জন আইনজীবী সাক্ষাৎ করেন। ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ব্যতীত অন্যান্যরা হলেন, মতিউর রহমান আকন্দ ও অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন।
ছেলে নাজিব মোমেন বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের প্রস্তুতীর জন্য আমার বাবার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার জন্য আমিসহ ডিফেন্স টীমের ৩ জন আইনজীবী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার সাথে দেখা করেছি।
২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিজামীর মৃতুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। আদালত তার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছেন সে রায়ের বিভিন্ন অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেন। বিভিন্ন সাক্ষীর জবানবন্দীতে উল্লেখিত ঘটনার সময়, স্থান, তারিখ ইত্যাদি বিষয়ে অসঙ্গতি ও সাক্ষীদের প্রদত্ত ভুল তথ্যসমূহ তুলে ধরেন।
তিনি ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের আনা একজন সাক্ষীর জবানবন্দীর বিষয়ে বলেন, এই সাক্ষী আমাকে ইসলামী জমিয়তে তালাবিয়া আরাবিয়া এর সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ আমি জীবনে কোনদিনও সেই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম না। সরকার আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছে ও মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই সরকার একের পর এক জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় দণ্ডিত করার ব্যবস্থা করছে।’
মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় আপীল বিভাগে বহাল থাকায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জামায়াতের নেতা-কর্মীদেরকে ধৈর্য্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।