দক্ষিণ চট্টগ্রামের সওজের কোটি টাকার জায়গা অবৈধ দখলে : কর্তৃপক্ষ নীরব
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৫:০০,অপরাহ্ন ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: চট্টগ্রামের পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)-এর কোটি কোটি টাকা অবৈধ সম্পত্তি বেদখলে। দীর্ঘদিন সওজ কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া সদরসহ আরকান সড়কের বিভিন্ন এলাকায় দখলবাজরা দখল কাজ অব্যাহত রেখেছে। অভিযোগ ওঠেছে, অবৈধ স্থাপনা থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতি মাসে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করার কারণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছে না।
স্থানীয় ও সওজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া সদর ছাড়াও শান্তিরহাট, গৈড়লার টেক, শাহ আমানত সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকা, আমজুর হাট, পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখে, মইজ্জ্যারটেক এলাকা, পটিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিস সংলগ্ন সওজের গোডাউনের পিছনে, মুন্সেফ বাজার, ডাকবাংলো, বাসস্টেশন, কমলমুন্সির হাট, চন্দনাইশ উপজেলা, রৌশনহাট, দোহাজারী, সাতকানিয়া, কেরাণীহাট, বোয়ালখালী, ফুলতল, লোহাগাড়া উপজেলা সদর, আনোয়ারা, মুজাফরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন অবৈধ স্থাপন বাড়ছে। পটিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিস সংলগ্ন সওজের গোডাউন এলাকা ও গোডাউনের পিছনে পৌরসভার নালার উপর গত কয়েকদিন পূর্বে একটি স্থাপনা নির্মাণ করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) দোহাজারী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোছলেহ উদ্দিন বলেন, পটিয়া সদর ছাড়াও আরকান সড়কের পটিয়া এলাকায় কোটি কোটি টাকার সওজ’র সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হয়েছে। তা দখলমুক্ত করতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে কোনো সময় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ইতোপূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে অবৈধ স্থাপনার ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। তারা এগিয়ে না আসলে আমাদের করার কিছু থাকে না। তবে সহসা এ ব্যাপারে অভিযান চালানো হবে। সংশ্লিষ্ট কিভাগের জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১/১১-এ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কে যৌথ বাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে সওজের কোটি কোটি টাকার জায়গা দখলমুক্ত করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা দখলবাজরা পুনরায় দখল করে নিয়েছে।