তুঘলকি সিদ্ধান্ত : ফিনল্যাণ্ড প্রবাসীদের দুতাবাস কার্যক্রম স্টকহোমের পরিবর্তে মস্কোতে
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৬:৫৯,অপরাহ্ন ৩১ মার্চ ২০১৫
সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে ফিনল্যান্ড প্রবাসীদের জোর আবেদন
শামীমা সুমী, হেলসিঙ্কি: সম্প্রতি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক তুঘলকি সিদ্ধান্তের ফলে ফিনল্যাণ্ড প্রাসীদের জন্য দুতাবাস কার্যক্রম এখন থেকে স্টকহোমের পরিবর্তে মস্কোতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিনল্যাণ্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে দুতাবাসের কাজ কর্মের জন্য স্টক হোমের পরিবর্তে রাশিয়ার মস্কোতে যেতে হবে। স্টকহোমস্ত বাংলাদেশ দুতাবাসের কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে ফিনল্যাণ্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয় বাংলা অনলাইন দৈনিক সংবাদ ২১ ডটকম এর প্রকাশক তাসলিমা জামান বলেন বর্তমান সরকার যেখানে প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন দুতাবাস স্থাপন করছে সেখানে ফিনল্যাণ্ড প্রবাসীদের দুতাবাস কার্যক্রম মস্কোতে স্থানান্তর কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। তিনি আরো বলেন এর ফলে মেশিন-এ পাঠ যোগ্য পাসপোর্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম-এর জন্য সরাসরি উপস্থিত হবার যে বাধ্যবাধকতা আছে আছে তার জন্য পাসপোর্ট আবেদনকারীকে মস্কো যেতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে, যার জন্য তার অন্তত ছয় মাসের ফিনিশ রেসিডেন্স পার্মিট এবং পাসপোর্ট-এ ছয় মাস মেয়াদ থাকা বাধ্যতামূলক। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে পুরো প্রক্রিয়াটা একটা জটিল আকার ধারণ করবে বলে তিনি মনে করেন। ফিনল্যাণ্ড প্রবাসী ছাত্র ছাত্রীদের অভিমত এর ফলে এখানে অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীদের কে চরম হয়রানির স্বীকার হতে হবে। শুধু তাই নয় ভিসা প্রত্যাশী ফিনিশদের কেও ভিসা আবেদন করতে মস্কোতে যেতে হবে যার ফলে বর্তমান পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিনল্যান্ড-এর সাথে যোগাযোগ ব্যাঘাত হবে বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল। সরকারে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ফিনল্যাণ্ড প্রবাসী সর্বস্তরের বাংলাদেশীরা।বিবৃতিতে সাক্ষর দাতারা হলেন জনাব ভূঁঞা এন. জামান, ডক্টর জহির উদ্দিন আহমদ, ডক্টর আক্তারুজ্জ্মান, ডাক্তার মামুন -উর – রশিদ, ডক্টর মিজানুর রহমান, ডক্টর মাহবুব-উর-রহমান, ডক্টর হারুন-উর- রশিদ, ডক্টর সিপুল বড়ুয়া , জনাব মজিবুল হক মজুমদার, জনাব জাহেদ ইকবাল, জনাব মাহমুদ হাসান সোহেল, জনাব শফিকুল মান্নান, জনাব শাখাওয়াত হোসেন (বাবু), জনাব মোহাম্মদ নূর জাহান, জনাব মঞ্জুর আলম, শ্রী বাসুদেব কুন্ড , শ্রী সুভাষ দে, জনাব শহীদুল বিপ্লব , জনাব মহিউদ্দীন মিয়াজী, জনাব মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, জনাব অঞ্জন হালদার, জনাব কামরুল হাসান, জনাব নাজমুল পিন্টু , জনাব জাহিদ লিঙ্কন , জনাব মাসুমুর রহমান, জনাব ইমরুল আবেদীন,জনাব রনি বাসির, জনাব খান আলমগীর , জনাব জাকির হোসেন, জনাব গিয়াস উদ্দীন , জনাব সরোয়ার , জনাব ইকবাল , জনাব জিয়াউর রহমান, জনাব রিপন , জনাব নাজমুল ইসলাম , জনাব আশরাফ, জনাব শায়খ সুমন , জনাব শায়খ সুজন, জনাব স্বপ্নিল, জনাব বুলবুল মিজান , জনাব এ কে এম রিপন, জনাব মাহমুদুল হাসান চৌধুরী,জনাব দীপক সরকার , জনাব রাসেল খাঁন, জনাব তৌহিদ মুরাদ , জনাব রোকন রাশেদ, জনাব খালিদ হাসান, জনাব শাকিল ইসলাম, জনাব তানভির অপু, জনাব শরিফ বিশ্বাস , জনাব রমজান আলী, জনাব কামরুল হাসান জনি, জনাব জুলফিকার আশরাফ, জনাব সাইফুল আলম তপন, জনাব জাহাঙ্গীর আলম, জনাব মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, জনাব ইমাম হোসেন পাভেল,জনাব সাইফুল বালিশা, জনাব মাইনুল ইসলাম , জনাব জামান সরকার, জনাব মবিন মোহাম্মদ, প্রফেসর আবুল হাসেম চৌধূরী, জনাব এজাজুল হক ভূঁইয়া রুবেল, জনাব আওলাদ হোসেন, জনাব বদরুম মনির ফেরদৌস, জনাব আওলাদ হোসেন, জনাব প্রদীপ কুমার সাহা, জনাব মিজানুর রহমান মিঠু, জনাব গাজী সামসুল আলম, জনাব আবুল কালাম আজাদ, জনাব নিজাম আহমেদ, জনাব তাজুল ইসলাম, জনাব মোস্তফা আজাদ বাপ্পী ও জনাব মোস্তাক সরকার প্রমুখ ।