তাবলীগের মুরুব্বি ওয়াসিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৩:২০,অপরাহ্ন ০৮ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশ তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বি ওয়াসিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ অর্থ উপার্জন, তাবলীগকে রাজনীতিকরণ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম মুশফিকুর রহমান চৌধুরী সমর্থিত তাবলীগ জামায়াতের সাথীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তিন তলায় হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন তাবলীগের সাথী আহমেদ ফজলে আকবর। সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসিকুল ইসলামের অনিয়মের ডকুমেন্ট সাংবাদিকদেরকে দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর এম মুশফিকুর রহমান চৌধুরীসহ ১১জন তাবলীগের সাথীকে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ডাকা হয়। সেখানে পুলিশের আইজি, কয়েকজন ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ তাদেরকে ইজতেমায় লিফলেট বিতরণ করতে নিষেধ করেন। ইজতেমার পরে লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়। তাবলীগের সাথীরা একথা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলেন লিখিত বক্তব্যে আহমেদ ফজলে আকবর বলেন, ওয়াসিকুল ইসলাম কাকরাইল মসজিদ নির্মাণের নামে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে দু’শত কোটি টাকা টাকা তুলে আত্মসাত করেছেন। বিদেশ থেকে এসব টাকা সংগ্রহে সহায়তা করেছেন ওয়াসিকুল ইসলামের ছেলে ওসামা ইসলাম। এছাড়া তিনি একটি জাতীয় পত্রিকায় রাজনীতি বিষয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন। টুইটারে রাজনীতি বিষয়ে মন্তব্য লিখেছেন। যা তাবলীগের মৌলিক নীতি অনুসরন করে না।
তারা বলেন, ওয়াসিকুল ইসলাম তাবলীগের শুরা (কার্য পরিষদ) সদস্য পরিচয় বহাল রেখেই চাঁদাবাজি ও রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহনের কারণে বিপুল সংখ্যক তাবলীগসাথীদের সমর্থন পাচ্ছেন, যা তাবলীগের মুলনীতির পরিপন্থি এবং সম্পূর্ণ তাবলীগ বিভ্রান্ত হচ্ছে। এতে যারা বাধা দিচ্ছেন তাদেরকে জেএমবির সদস্য বলে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে ক্ষিপ্ত হয় তারা। এরপরে লিফলেট বিতরণ করে সতর্ক করার চেষ্টা করা হয়। তখন তাদের ওপর হামলা করা হয়। মারধরের মিশন সম্পন্ন করেন ইঞ্জিয়ার মাহফুজুল হান্নান ও ইঞ্জিয়ার আনিসুর রহমান। এসময় তাবলীগের সাথীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রাকিবুল হাসান, আবু সাইদ মো. লতিফুল আলম, মামুন-উর রশিদ, নারায়নগঞ্জের হাসান হাবিব প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওয়াসিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে কাকরাইল মসজিদে লিফলেট বিতরণ করেছেন তাবলীগের অন্য সাথীরা। তখন দুই দফায় ৪৭জনকে মসজিদের ভিতরে আটকে রেখে মারধোর করে রমনা থানা পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ ৫৪ ধারায় আটক করে জেলে প্রেরণ করে।