ডিজিটাল প্রশ্নে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪০:৫৩,অপরাহ্ন ২৩ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণ করে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ‘ডিজিটাল প্রশ্ন ব্যাংক’ তৈরি করে সেখান থেকে প্রশ্ন নির্বাচন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এ পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকের বিগত কয়েকটি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের পর এ উদ্যোগ নিচ্ছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৩ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের পর ১৭ জেলায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।
অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আলমগীর হোসেন বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ‘প্রশ্ন ব্যাংক’ থেকে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে প্রশ্ন করে বিভিন্ন সেট তৈরি করে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে উচ্চগতির প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হবে। এরপর স্ট্যাপলিংসহ প্যাকেটজাত করে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিতরণ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ডিজিটাল পদ্ধতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সারা দেশে এক দিন পরীক্ষা না নিয়ে বিভাগ ভিত্তিক পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা নেয়াও হতে পারে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য টেকনিক্যাল একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুয়েটের আইআইসিটি’র পরিচালক অধ্যাপক লিয়াকত আলীকে প্রধান করে এই কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি রয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ কমিটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ বিষয়ক সফটওয়ারের ডেমো প্রস্তুত করবে।
আলমগীর হোসেন জানান, সরকারের নীতিগত অনুমোদনের পর ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
এদিকে যথেষ্ট নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা প্রদান করা সত্ত্বেও গতানুগতিক পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ থেকে যায় বলে মন্তব্য করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।