ডাকসু নির্বাচন: রোকেয়া হলের তিনটি ব্যালট বাক্স নিখোঁজ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৪:১৫,অপরাহ্ন ১১ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই বেগম রোকেয়া হলের তিনটি ব্যালট বাক্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, ভোটার লাইনে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে। বাইরের শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ আসলেও তাদের হাতে ছাত্রলীগের প্যানেল ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই অভিযোগটিও যাচাইবাছাই করার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে কয়েকবার মোবাইলে কল করেও পাওয়া যায়নি।
এ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের ছাত্রসমাজ ও রাজনীতি সচেতন মানুষের মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রশাসন। হলে হলে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম রবিবারেই পৌঁছে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠন এবং স্বতন্ত্র জোট মিলে মোট ১৩টি প্যানেলে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করছেন। এর বাইরে বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও রয়েছেন।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে লড়ছেন ২২৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করছেন ১৩ প্রার্থী। এ ছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন প্রতিদ্বনি্দ্বতা করছেন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন ৮৬ প্রার্থী। এ ছাড়া ১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪ পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন ৫০৯ জন। প্রত্যেক ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি এবং হল সংসদে ১৩টি পদে একটি করে মোট ৩৮টি ভোট দিতে পারবেন। এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৫৬ জন।