টাঙ্গুয়ার হাওরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ : আহত ২০
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৫:৫৭,অপরাহ্ন ১৬ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের বাদেটান শালিয়ার দিঘা বিলের দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিলের ইজারাদারের তৈরি অস্থায়ী ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে বিলের ইজারাদার আলীনূর (৫০) ও সাবেক ইউপি সদস্য প্রভাত চন্দ্র সরকারকে (৫০) তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায় নি। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এ বিলটি তিন বছরের জন্য ইজারা নেন তাহিরপুর উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর-নোয়াগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আলীনূর। অন্যদিকে, মধ্যনগর থানার কাউখালি গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদসহ কয়েক জন জলমহাল উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে বিলটি ইজারা নিয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আব্দুস সামাদের লোকজন শালিয়ার দিঘা বিলে হামলা চালায়। এতে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে ইজারাদারসহ ২০জন আহত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরের ওই এলাকায় উন্নয়ন সংস্থা আইইউসিএন’এর কর্মকর্তাদের ইঙ্গিতে ইজারাদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উন্নয়ন সংস্থা আইইউসিএন-এর টাঙ্গুয়ার হাওর প্রজেক্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদ রিয়াদ বাংলানিউজকে জানান, আইইউসিএন স্থানীয় গ্রামবাসীদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ইজারাদারের ওপর হামলার বিষয়ে কোনো প্রকার ইঙ্গিত দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি আরো জানান, বিলটি নিয়ে ওই এলাকার লোকদের পক্ষে আদালতে আপিল করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল্লাহ জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিলটি তাহিরপুর থানার সীমানায় কিন্তু ইজারাদারের নেওয়া বিলটি মধ্যনগর থানার কাউখালি গ্রামের পাশে। মধ্যনগর থানার ওসিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুজ্জামান জানান, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। তবে, বিলটি এখনও ইজারাদারের লোকদের দখলে রয়েছে।