টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র লুতফুর রহমানের ক্ষমতা খর্ব?
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৬:৪৯,অপরাহ্ন ০৫ নভেম্বর ২০১৪
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, লন্ডন : অবশেষে এরিক পিকলস সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়রের অফিসে তিন সদস্যের কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত ১ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে রচিত রিপোর্ট আজ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, টাওয়ার হ্যামলেটস বারার মেয়রাল অফিস দুর্নীতিতে নিমজ্জিত- মিলিয়নস পাউন্ডের গ্রান্টস ও প্রোপার্টি সেইলের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়াতে এরিক পিকলস তার ক্ষমতাবলে এবং লোকাল গভর্ণম্যান্ট এক্ট ১৯৯৯ প্রদত্ত ক্ষমতায় তিনি টাওয়ার হ্যামলেটসে মেয়র অফিসে তিন সদস্যের কমিশন নিয়োগ দিয়েছেন। কার্যত এর মধ্য দিয়ে লুতফুর রহমানের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বা নেয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রোপার্টি সেইল ও গ্র্যান্ট এর ব্যাপারের সকল সিদ্ধান্ত এই কমিশনার ত্রয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হবে বা বাস্তবায়নের আগে তাদের অনুমোদন লাগবে।
রিপোর্ট প্রকাশের পর এরিক পিকলস এমপিদের জানিয়েছেন দূর্নীতিতে টাওয়ার হ্যামলেটস রটেন বরা এবং একুশ শতাব্দীতে ব্রিটেনের এ ধরনের বারা গ্রহণযোগ্য নয়, বিনা চেকের মাধ্যমে পার পেয়ে যাবেনা।
কমন্স সভায় এরিক পিকলস বলেছেন, রিপোর্ট প্রমাণিত এই বারাতে যোগাযোগ বরাবরের মতোই কনফিউজিং, ইন্টারাপ্টিং, গোপনীয়তা, গণতান্ত্রিক স্ক্রুটিনিং ও একাউন্টাবিলিটির অভাব ও দায়বদ্ধতাহীন, বন্ধু বান্ধর বা স্বজনপ্রীতির এক ধরনের সংস্কৃতি, পাবলিক ফান্ড স্পেন্ডিং এর ক্ষেত্রে দুর্নীতি যেন নিত্য এক সঙ্গী অথচ কতৃত্বপরায়ন বিদ্যমান।
এরিক পিকলস কমন্স সভায় আরো বলেন, রিপোর্টের তথ্যাবলী পুলিশের কাছে পাঠানো হবে। এবং এটা টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র সম্পর্কিত, আমার মাথা আজ নত হয়ে আছে, এতে আমি খুবই লজ্জিত এবং অনুতপ্ত এই কারণে যে আমি এর সম্পর্কে ফাইনাল ডিসিশন আগে নেই নি।
তিনি জানান ২০০ পৃষ্ঠার এই রিপোর্ট প্রণয়ন ও তদন্তে ১ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে যাতে টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়রাল অফিসে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ম্যাল-এডমিনিস্ট্রেশন এবং একই সাথে পোটেনশিয়াল ফ্রডের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
মেয়র লুতফুর রহমান অবশ্য বলেছেন এটা ফ্রড নয়, বরং এক ধরনের আইসোলেটেড ফ্লস( উইকনেস) একই সাথে তিনি বিরাজমান তদন্ত প্রসেসে আমাদেরকে আরো শক্তিশালী করবে বলে অভিহিত করেছেন।
এরিক পিকলস কমন্স সভাতে আরো বলেছেন মেয়রাল অফিস নিঃসন্দেহে ফাউন্ডামেন্টাল ব্রেকডাউন যদি চেকিং ছাড়াই রয়ে যায় তাহলে ইমপ্রোপার কনডাক্ট জীবনভর রয়ে যাবে বা চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
কমন্স সভায় লেবার দলীয় হিলারি বেন এমপি , সাবেক টোরি দলীয় মিনিস্টার বব নেইল, জিম ফিটিজ প্যাট্রিক এমপি সহ সকলেই এরিক পিকলসকে সমর্থন করেছেন। হিলারি বেন এমপি বলেছেন রিপোর্ট প্রমাণিত এরিক পিকলস ক্লিয়ারলি রাইট এবং তিনি ১৯৯৯ লোকাল গভর্ণম্যান্ট এক্ট অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ যথার্থই করেছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে গ্র্যান্ট লুতফুর রহমানের সাথে সম্পর্কিত বাংলাদেশীদের মধ্যে বন্টন করা হয়েছে ।
রিপোর্টে আরো দেখানো হয়েছে, ২০১১ সালে পপলার টাউন হল ৮৭৬,০০০ পাউন্ড উঠা সত্যেও ৮৭৫,০০০ পাউন্ডে বিক্রি করা হয়েছে এবং ৮৭৬ না বিক্রি কয়রে ৮৭৫ বিক্রির নোটে মেয়রের কাছ থেকে কানেকশন আসার প্রমাণ রয়েছে। এমনকি কর্তৃপক্ষ দেরিতে বিড করা গ্রহণ করে প্রমাণ করেছেন এখানে মেনিপুলেট করা হয়েছে, অধিক দামের বিডারকে না দিয়ে কম দামের বিডারকে দেয়া অথচ ইতোপূর্বে সমস্ত বিডার ওপেন করার পরেও দেরীতে বিডরের পক্ষে সেইল অনুমোদন সব কিছুতে দুর্নীতি প্রমাণ করে বলে রিপোর্ট উল্লেখ করেছে।
২০০ পৃষ্ঠার রিপোর্টের প্রধান প্রধান বিবেচ্য বিষয় ও পয়েন্টগুলো নীচে উল্লেখিত হলো-
- Poplar Town Hall, a Grade II listed building, was sold for £875,000 to a political supporter of Mr Lutfah even though the bid arrived late, and after rival bids had been opened, which created a “risk of bid manipulation”. A higher offer was rejected, contrary to independent advice, and the winner was later allowed to change his contract.
- Grants were handed out to organisations that were “ruled ineligible”, with some £407,700 given to groups that failed to meet the council’s own minimum criteria. Council officers were over-ruled in many cases.
- The appeared to show “a tendency towards denial or obfuscation rather than an inclination to investigate concerns raised”. It did not properly investigate issues raised in a BBC Panorama programme that alleged Mr Rahman intervened to increase grants paid to some local Bangladeshi organisations.
- Public money was spent “inappropriately” on political advertising for the Mayor.