ঝাড়ু মিছিলে অংশ গ্রহন নিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে দ্বন্দ্ব
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩০:৩৬,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০১৪
বিশেষ প্রতিনিধি: ৮ নভেম্বর সিলেট মহানগর বিএনপি নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর কমিটি প্রত্যাখানকারী বিদ্রোহীদের ঝাড়ু মিছিলে অংশ গ্রহন নিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে দেখা দিয়েছে দ্বন্দ্ব। সংগঠন সুত্রে জানা যায়, মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষনার পর তাৎক্ষনিক ভাবে নগরীরর মিরাবাজার থেকে নতুন কমিটি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীর বিরোদ্ধে মহানগর বিএনপির পদবঞ্চিত নেতারা এক ঝাড়ু মিছিল বের করেন। ঝাড়ু মিছিলে ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজ গনমাধ্যমে পাঠান। এবং পর দিন ৯ নভেম্বর রবিবার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তাদের অংশ গ্রহন নিয়ে চলে নগরীতে আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকে বলেন, ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা ছিলেন না এই ঝাড়ু মিছিলে । কিন্তু আবার অনেকে বলছেন যারা ঝাড়ু মিছিল করেছেন তারা একই বলেয়ের তাই তারা ছিলেন। নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক ঝাড়ু মিছিলে অংশ গ্রহন করা এক ছাত্রদল কর্মী বলেন, ‘নতুন কমিটির নেতারা যখন ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের ভয়ে রাজ পথে নামতে পারছেন না তখন তারা যে যে বলেয়ের ছিলেন সে বলয় ছেড়ে জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ইলিয়াস অনুসারী এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের আশ্রয় নেন। আর গত শনিবার মহাগর বিএনপির নতুন কমিটিতে ইলিয়াস অনুসারীর নেতাদেরকে বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষনা হয়। তাই ইলিয়াস অনুসারীরা বিদ্রোহ ঘোষনা করে এই নতুন কমিটির বিরোদ্ধে ঝাড়ু মিছিল বের করেন। আর যেহেতু তারা কমিটি ধরে রাখার জন্য ইলিয়াস অনুসারীতে যোগ দিয়েছেন তাহলে তারা মিছিলে থাকা স্বাভাবিক।’ তবে এ ব্যাপারে ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ বলেন, আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু মন্তব্য করব না। মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমান বলেন, আমি ছিলাম না সেটা বলতে পারব। তবে আর কিছু বলতে পারব না। তাছাড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দীকি খালেদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ বর্তমান মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহরিয়ার হোসেন অনুসারী ছিলেন। কিন্তু ডা.শাহরিয়ার তাকে সভাপতি করেননি বলে জানা যায়। তারপরও তার অনুসারী হিসাবে ১৭ সেপ্টেম্বর কমিটি ঘোষনার পর দিন ১৮ সেপ্টেম্বর ডা.শাহরিয়ারের হাউজিং এস্টেটের বাসায় তার আর্শিবাদ পেতে যান সাঈদ আহমদ। ঐদিন ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের তুপের মুখে পড়েছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ। এরপর তিনি ডা. শাহরিয়ারকে ছেড়ে বিএনপি নেতা এডভোকেট শামসুজ্জামানের আশ্রয় নেন। অপরদিকে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দীকি খালেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমান সাবেক এমপি খন্দকার আব্দুল মালেকের পুত্র বিএনপি নেতা শিল্পপতি খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও তৎকালীন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকির অনুসারী ছিলেন। তারা উভয়ই তাদের অনুসারদেরকে ছেড়ে বিএনপি নেতা এডভোকেট শামসুজ্জামানের বলয়ে যোগ দেন বলে একটি সুত্রে জানা গেছে। এখন তারা কত দিন বিএনপি নেতা এডভোকেট শামসুজ্জামান জামানের সাথে থাকেন তা দেখার বিষয়।