ঝালকাঠির প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৫:৫৬,অপরাহ্ন ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: ঝালকাঠির প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগঝালকাঠি, ১৯ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ক্যাশিয়ার আলাউদ্দিনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থসম্পদের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে অর্ধশত শিক্ষক। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নাম ভাঙিয়ে হরিলুটে লিপ্ত আলাউদ্দিন যেন ‘আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ হাতে পেয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগে দাবি করেছে।
স্থানীয় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শোষণ ও হয়রানি করে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী মোঃ আলাউদ্দিন আহম্মেদ বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্সসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। আর ক্ষমতার জোরে উক্ত আলাউদ্দিনের স্ত্রী সহকারী শিক্ষক হয়েও বিভাগীয় সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে। আর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসব কর্মকাণ্ড জানলেও রহস্যজনক কারণে তিনি নীরবতা পালন করছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছে।
বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় কয়েক শিক্ষক নেতার যোগসাজশে ক্যাশিয়ার আলাউদ্দিন আহম্মেদ প্রাথমিক শিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উপায় হয়রানি করে অর্থ আদায় ও তদবির বাণিজ্য করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। উক্ত আলাউদ্দিন সহকারী শিক্ষক রুম্পা বনিককে ১০ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে চামটা বিদ্যালয়ে পদায়নসহ সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে পদায়ন ও ডেপুটেশনের মধ্যস্থতা করে মোটা টাকা হাতিয়ে আসছেন।
চাকরিরত শিক্ষকদের পরীক্ষার অনুমতির জন্য তিনি দাবিকৃত টাকা পেলে ফাইল উপস্থাপন করেন অন্যথায় ফেলে রাখেন। যে কারণে ধারাখানা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আনিছা জাহান মুন্নি পরে আবেদন করে অর্থের বিনিময়ে আগে পরীক্ষার অনুমতি পায়। কিন্তু চাচৈর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম আগে এমএড পরীক্ষায় অনুমতি চাইলেও টাকা না দেয়ায় অনুমতি পাননি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাহবাদ ইউনিয়নের লোক আলাইদ্দিনের দাপটে তার স্ত্রী মসজিদ বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শাহানাজ পারভিন শিক্ষা বিভাগের সকল সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ সুযোগ তো পাচ্ছেই, তা ছাড়া বিধিলঙ্ঘন করে গত ২০১২ ও ১৩ সালের পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শক ও খাতা পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছে।
মোঃ আলাউদ্দিন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী হলেও ঝালকাঠি মহিলা কলেজের সম্মুখে বাড়ি, রূপাতলী হাউজিংয়ে ২টি প্লট, জিয়া সড়কে ৫ কাঠা জমি, জিপিএ ফান্ডে প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা কর্তন ও তার ও তার স্ত্রীর ৪টি ব্যাংকে প্রতি মাসে ১ হাজার করে সঞ্চয়সহ বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলহাজ্ব জাফর আহম্মেদ জানায়, আগে কথা আমি বলতে পারবো না, তবে আমার যোগদানের পর সে কোনো প্রকার প্রভাব খাটাতে না পারায় সে একটু বিরূপ রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ক্যাশিয়ার মোঃ আলাউদ্দিন আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয় কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। পরে তার বিরুদ্ধে সকল অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় শিক্ষকদের মধ্যে দুটি গ্রুপ থাকায় একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে এ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।