জেনে নিন একান্ত গোপন কথা বলবেন কাকে!
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:০২:০৩,অপরাহ্ন ২৯ নভেম্বর ২০১৪
লাইফস্টাইল ডেস্ক: কিছু বিষয় আছে, যা ব্যক্তিগতের চেয়েও ব্যক্তিগত, হতে পারে তা একান্ত ব্যক্তিগত। এই একান্ত ব্যক্তিগত কথা যখন তখন হুটহাট কাউকে বলা যায় না। তবে এসব আবার নিজের ভেতর বেশীক্ষণ গোপনকরে রাখাও যায়না। যদিও তা রাখা যায় তবে তা আপনার জন্য খুবই কষ্টের হবে।
মনের একান্ত গহীন গোপন না বলা কথা আর একান্ত ব্যক্তিগত কথা কিন্তু এক না। আপনার ব্যক্তিগত কথা নানা রকম হতে পারে। এই কথার কিছু আছে যা পরিবারের সঙ্গেও শেয়ার করা যায় না। আজ জেনে নিই এই কথাগুলো কার কাছে বলা যায়।
# আপনার ব্যথায় যে কেঁপে ওঠে তাকে মনের কথা বলার জন্য বাছাই করুন।
# এই গোপন কথার মানুষটা আপনার বাবা-মা কিংবা ভাইয়া-আপু অথবা দূরের কেউও হতে পারে।
# যার কাছে ব্যক্তিগত কথা বলবেন আগে তাকে ভালো করে বুঝে, শুনে নিন। আপনার মাপে যদি তিনি টিকে যান তবু একটু দাঁড়ান। ছোট খাট দু-একটা কথা বলে একটু যাচাই করে নিন। যদি সে বিশ্বস্ত হয় তবে নিশ্চিন্তে বলতে পারেন মনের কথা।
# তবে যার কাছে মনের গোপন কথা বলবেন তার প্রতি সবসময় একটা শ্রদ্ধার মনোভাব রাখবেন।
# তাকে অবিশ্বাস করা চলবে না। কারো কান কথায় তার উপর রাগ করাও চলবে না। কারণ আপনি তো তাকে আগেই বাজিয়ে দেখেছিলেন।
# এই বিশ্বস্ত মানুষটির কাছে আপনি সমাধানও চাইতে পারেন। কেননা, আপনার সব কথা তার চেয়ে বেশি কেউ জানে না। সুতরাং তার কাছ থেকে ভালো একটা সমাধান বেরিয়ে আসাটাই স্বাভাবিক।
# এই বিশ্বস্ত মানুষটি যে মেয়েদের ক্ষেত্রে শুধু মেয়ে হবে আর ছেলেদের ক্ষেত্রে শুধু ছেলে হবে এমন ধ্যান-ধারনা বাদ দিন।
# আপনার কথা কাকে বলেন এই নিয়ে ঢোল পেটাবেন না। গোপন মানুষটি সম্পর্কে দরকার না পড়লে আলোচনারই দরকার নেই।
# তাকে থাকতে দিন তার মতো করে। মন খারাপ হলে এবং মনে কথা জমলে তার কাছে গিয়ে গোপনে হাল্কা হয়ে আসুন।
# গোপন কথা বলার মানুষ বাছাই পক্রিয়াটা যেহেতু একান্ত নিজের ওপর নির্ভর করে সেক্ষেত্রে কথাগুলোও ভেবেচিন্তে বলবেন। বাছাই প্রক্রিয়াটা আপনার বুদ্ধিমত্তার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। আপনি আপনার মতো করে মনের গোপন কথা বলা লোক ঠিক করতে পারেন।
আবার কিছু লোক আছে যাদের সব কথা বলা না গেলেও অনেক কথা বলা যায়। এক্ষেত্রে ক্যাটাগরি ভাগ করে গোপন কথা বলে যেতে পারেন। তবে ‘সাবধানের মাইর নাই’ কথাটা মাথায় রাখলে ভালো।