জুয়ার আসরে খালেদ মাহমুদ !
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২১:০৪,অপরাহ্ন ০২ মার্চ ২০১৫
স্পোর্টস ডেস্ক : রাত ১০টার পর হোটেলের বাইরে থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশের তরুণ ফাস্ট বোলার আল-আমিন হোসেনকে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশ ফেরত পাঠিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
রাত ১০টার পর বাইরে থাকার বিষয়টি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকে অবহিত করে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। পরবর্তীতে বোর্ড পরিচালকদের সাথে বৈঠক করে আল-আমিনকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
জানা যায়, বোলার আল-আমিন টিম ম্যানেজমেন্টকে না জানিয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করতে যায়। তবে, তাঁর কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানায় বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
তবে, এই দিকে স্বয়ং টীম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন প্রায়ই প্রতিদিনই রাতের বেলায় ক্যাসিনোতে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। এই বিষয়ে খেলোয়াড়রা জানলেও কেউই মুখ খুলতে নারাজ।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারী রাত ১টা ৩০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ০৮ হোয়ইটম্যান স্ট্রীটের ক্রাউন ক্যাসিনের জুয়ার আসরে দেখা গেছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। এসময় তার সাথে ছিলেন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী তিন যুবক। হাতে অস্ট্রেলিয়ান ডলার নিয়ে ক্যাসিনো খেলায় তিনি মগ্ন ছিলেন বেশ ঘন্টা খানেক। এ সময় তিনি কালো জ্যাকেট ও পায়ে স্যান্ডেল পরে ছিলেন।
এর আগেও রাত জেগে ক্যাসিনোতে থাকার কারণে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ চলাকালে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। ব্যাপারটি স্টার স্পোর্টসের চ্যানেলের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব দেখেছে ম্যাচ চলার সময় সুজন বেঞ্চে ঘুমাচ্ছেন।
শুধুমাত্র বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ট হওয়ার কারণে নিজের ইচ্ছামতো সব কিছু করতে পারেন তিনি। বোর্ড কর্তারা দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তুজাকে দিয়ে জোর করে আল আমিনের বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য করে। মাশরাফি চেয়েছিলেন আল আমিন বিশ্বকাপে দলের সঙ্গেই থাকুক। কিন্তু বোর্ডের অপেশাদার আচরণের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।
এদিকে, বিশ্বকাপ ম্যাচ চলাকালীন সময়ে টীম ম্যানেজারের ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার আসরে যাওয়া কোন অনুমতি থাকে না। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক মঈন খানকে কেসিনো খেলার অভিযোগে দেশে ফেরত পাঠায় টীম পাকিস্তান। তাহলে, খালেদ মাহমুদ সুজনের ক্ষেত্রে কি ধরণের শাস্তি হতে পারে – তাই এখন দেখার বিষয় ।