জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজের জন্মদিন আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৬:২৮,অপরাহ্ন ২৩ জানুয়ারি ২০১৫
বিনোদন ডেস্ক::
বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মদিন আজ। ৭৩ পেরিয়ে এ অভিনেতা আজ ৭৪ বছরে পা রাখলেন। জন্মদিনে তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও একেবারেই ঘরোয়াভোবে দিনটি পালিত হচ্ছে বলে তার পরিবার সুত্রে জানা গেছে। গত সপ্তাহে কলকাতা গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ঘুরে বেড়াতে। জন্মদিন পরিবারের সবার সঙ্গে কাটাতে দেশে ফিরেছেন এ শিল্পী। এবারের জন্মদিন পরিবার ও ভক্তদের সঙ্গে কাটাবেন।
রাজ্জাক বলেন, ‘কয়েকটি দিন নিজের মতো করে কাটিয়ে এলাম আমার জন্মস্থানে। তবে খুব ঠাণ্ডা পড়েছে কলকাতায়। তাই খুব বেশি বেড়ানোরও সুযোগ ছিল না। আর জন্মদিনটি ছেলে মেয়েদের সঙ্গেই কাটাতে চাই।’
ব্যাক্তিজীবনে রাজ্জাক শুধু একজন নায়ক হিসেবেই নয়, পরিচালক হিসেবেও বেশ সফল। সর্বশেষ তিনি ‘আয়না কাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেন। বর্তমান সময়ে তিনি চলচ্চিত্রে খুব কমই অভিনয় করছেন।
নায়ক হিসেবে নায়করাজ প্রথম অভিনয় করেন জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ ছবিতে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন সুচন্দা। তার দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাটও চলচ্চিত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নায়করাজ রাজ্জাক প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয় করে। এরপর আরও চারবার তিনি জাতীয় সম্মাননা পান। ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার পেয়েছেন অসংখ্যবার।
ষাটের দশকের মাঝের দিকে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ষাটের দশকের বাকি বছরগুলোতে এবং সত্তরের দশকেও তাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার নাকতলায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনর মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।
তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসেন। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ঘরোয়া নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু অস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক`টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।