ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: জবি শিক্ষক ইমনকে বহিষ্কার, চেয়ারম্যানের পদ হারালেন হালিম
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪২:৩২,অপরাহ্ন ২১ মার্চ ২০২৪
ছাত্রী ফারজানা মিমকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমকে বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মো.আবদুল্লা আল আমীন
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
এর আগে ১৮ মার্চ ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ছাত্রী ফারজানা মিম।
তিনি জানান, তার বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন যৌন হেনস্তা করেছেন। এরপর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমসহ দুজন অভিযোগ তুলে নিতে তাকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, তারা আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
পরদিন ১৯ মার্চ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের । যৌন হয়রানি ও বুলিংয়ের বিচার চেয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির কাছে ওই ছাত্রী লিখেন, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে উপাচার্য বরাবর আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বুলিং ও যৌন নির্যাতনের বিচার চেয়ে একটি আবেদন দায়ের করি। বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর তখন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের দায়িত্বে ছিলেন। এটার বিচার আমি এখনো পাইনি, উল্টো আমাকে যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক ও তার সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান অনার্স পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকরা আমাকে ভীষণরকম বহিষ্কারের ভয়ভীতি, পরীক্ষায় ফেল করানো, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আমাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিচ্ছেন। ফলে আমি সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করি।’
‘এ অবস্থায় আপনার কাছে সর্বশেষ আশা-ভরসা নিয়ে আবেদন জানাচ্ছি। আপনার পক্ষ থেকে এই বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং প্রশাসনের জবাবদিহির ব্যবস্থার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। আমাকে ফেল করানোর বিষয়গুলো আপনার নির্ধারিত বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনা করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে আমার জীবনকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আকুল আর্জি জানাচ্ছি।’ আবেদনে যোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।