ছাতক-দোয়ারাবাজারে আ’লীগের অভ্যন্তরিন কোন্দল চরমে : কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৪:০০,অপরাহ্ন ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ছাতক ও দোয়ারাবাজার আওয়ামী লীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটিকে নিয়ে দলীয় অভ্যন্তরিন কোন্দল চরমে পৌছেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারী আবরু মিয়া তালুকদারকে আহবায়ক ও মো: লুৎফুর রহমান সরকুম ও আজমল হোসেন সজলকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট ছাতক আহবায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়েছে।
অপরদিকে, দেয়ারাবাজারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফরিদ আহমদ তারেককে আহবায়ক ও হাজী আব্দুল খালেক চেয়ারম্যান ও শামীমুল ইসলাম শামীমকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদন দেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান ও সাধারন সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট।
উভয় কমিটি নিয়ে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও ছাতক পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী সমর্থিত নেতাকর্মীর মধ্যে গ্রুপিং কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। সাংসদ মানিক পক্ষের দুই তৃতীয়াংশ নেতা-কর্মীরা এ কমিটিকে তথাকথিত পকেট কমিটি বলে সরাসরি বর্জন ঘোষণা করেন। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে সুবিধাভোগীদের স্বার্থে এ কমিটি অনুমোদিত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তারা।
অপরদিকে, মেয়র কালাম পক্ষের নেতা-কর্মীরা দাবী করেন, দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে মানিক পক্ষের কাউকে মাঠে দেখা যায়না। আন্দোলনের সময় তারা নিজেদের আত্মগোপনে রেখে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। দল ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও তাদেরকে মাঠে মিলেনা। মেয়র কালাম পক্ষের নেতা কর্মীরা এ কমিটিকে যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের দিয়ে সুসংগঠিত হয়েছে বলে দাবী করছেন।
উভয় পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি মতবেদ নিয়ে ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরিন কোন্দল চরমে রূপধারণ করেছে।
এদিকে, ছাতক উপজেলা শাখার সদ্য পদপ্রাপ্ত যুগ্ম আহ্বায়ক মো: লুৎফুর রহমান সরকুম এক বিবৃতিতে বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত আহ্বায়ক কমিটি আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে সুবিধাভোগীদের স্বার্থে এ কমিটি অনুমোদিত হয়েছে। বিবৃতিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ছাতকে সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন ১৫ বছর ধরে। ২০০০ সালের ৪ অক্টোবর গণভবনে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহবায়ক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন বলেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তাকে অবহিত এবং সম্মেলন না করে কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত এ কমিটিতে তার নিজেরসহ অনেকের নাম মনগড়াভাবে জুড়ে এ কমিটি অনুমোদনকে আওয়ামীলীগে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অপরদিকে, দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটিকে বর্জন করলেন দুই তৃতীয়াংশ সদস্য। ৬ জানুয়ারী পত্র পত্রিকায় এই কমিটির সংবাদ জানতে পেরে তাৎক্ষনিকভাবে নবগঠিত কমিটিকে তথাকথিত পকেট কমিটি বলে সরাসরি বর্জন ঘোষণা করেন দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক দেয়ারাবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতিক, অধ্যক্ষ একরামুল হক, মান্নারগাও ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম,আব্দুল জলিল,এডভোকেট আব্দুল আজাদ রুমানসহ নবগঠিত কমিটির দুই তৃতীয়াংশ নেতাকর্মীরা।