চাঁদাবাজদের তাড়া খেয়ে পথচারীকে পিষ্ট করল ট্রাক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫২:১৫,অপরাহ্ন ০২ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সাতক্ষিরা থেকে ঢাকা গামী একটি গরু বোঝাই ট্রাক শার্শার সাতমাইল পশুহাট এলাকায় চাঁদাবাজদের তাড়া খেয়ে কাসেম আলী (৫৫) নামের এক পথচারীকে পিষ্ট করেছে। ঘটনাস্থলে তার মৃত্য হয়। নিহত ব্যক্তি শার্শার সাতমাইল এলাকার আমতলা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাতক্ষিরা থেকে একটি গরু বোঝাই ট্রাক ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সাতমাইল এলাকায় আসলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা পশুহাট ইজারাদারের পৌষ্য সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে ট্রাকটির গতিরোধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিদিনই ট্রাক থামিয়ে এ চাঁদার প্রথা চালু থাকায় সচেতন চালক চাঁদা না দেয়ার জন্য ট্রাকের গতিবেগ বাড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ক্ষেত্রে চালক ট্রাকটির নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। ফলে হতভাগা পথচারি কাসেম ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তথ্যানুসন্ধ্যানে এলাকাবাসী আক্ষেপ করে বলেন, সাতমাইল পশুহাট ইজারাদারের পৌষ্য সন্ত্রাসী কাদের ধাবকের ছেলে আনার ধাবক, মিঠু ধাবকের ছেলে বিপ্লব ধাবক, রাসেল ধাবক, আব্দুল মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা, সাহেব আলী ধাবকের ছেলে বাপ্পি ধাবক, আয়ুব ধাবকের ছেলে সোহান ধাবক, সুরত আলীর ছেলে উজ্জল মোল্লা, আহম্মদ মোল্লা ছেলে তরিকুল মোল্লা, আব্দুর রসিদ মন্ডলের ছেলে তরিকুল মন্ডল, ইয়াকুব টালির ছেলে আরিফ ও বাবু সরদারের ছেলে তুসার সরদার হাট ইজারা পাওয়ার সাথে সাথে এ চাঁদাবাজি প্রথা চালু করে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এ বিষয়ে লেখালেখি হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যার কারনে কাসেম আলির মত এক নিরিহ পথচারিরর প্রান দিতে হল ট্রাকের চাকায়। না জানি আর কত মায়ের কোল এভাবে খালী হবে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে শার্শা থানার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হওয়ার খবর জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। চাঁদাবাজদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে পরে কথা বলছি বলে ফোনটি কেটে দেন।