চলে গেলেন সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৩:১০,অপরাহ্ন ০৫ নভেম্বর ২০১৪
বিনোদন ডেস্ক ::
হৈ হৈ রঙ্গিলা রঙ্গিলা রে… গান গেয়ে সংগীতপ্রেমিদের হৃদয় দখল করেছিলেন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। সবাইকে রেখে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তিনি ঢাকার নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে….রাজিউন)।
চিকিৎসকরা জানান, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী হাইপোগিসিমিক শক পেয়েছিলেন। বছর তিনেক আগে তিনি ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক করেন। তার ডায়াবেটিস রোগও রয়েছে। এমনকি তার কিডনিজনিত সমস্যাও রয়েছে। কয়েকদিন ধরেই তিনি ঠিকমতো খেতে পারছিলেন না। ফলে তার ব্লাড সুগার একেবারে নিচের দিকে নেমে যায়।
ষাট ও সত্তর দশকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী চলচ্চিত্র, রেডিও এবং টেলিভিশনে দাপটের সঙ্গে গান গেয়েছেন। ‘বাঁশি বাজে দূরে’, ‘ঐ দূর দূর দূরান্তে’, ‘জানতাম যদি শুভঙ্করের ফাঁকি’, ‘হেসে খেলে জীবনটা যদি চলে যায়’, ‘হৈ হৈ রঙ্গিলা রঙ্গিলা রে’, ‘তোর রূপ দেখে চোখ ধাঁধে মন ভরে না’, ‘শোন গো রূপসী’ ইত্যাদি তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে।
বাংলাদেশের আধুনিক গানের অন্যতম শিল্পী, সংগীত পরিচালক এবং সুরকার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৪৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা জেলায়। তিনি বিপিন দাস, সমর দাস, আবদুল আহাদ, কাদের জামেরী প্রমুখ সংগীত ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে সংগীতে দীক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৬০ সাল থেকে তিনি রেডিও ও চলচ্চিত্রে গান গাইতে শুরু করেন। ১৯৬২ সাল থেকে সংগীত ভুবনে তার জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে। তিনি ২০৬টি চলচ্চিত্রে গান করেছেন। তার গাওয়া গানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
বাংলা গানের পাশাপাশি উর্দু গানও করেছেন শিল্পী মোহাম্মদ আলী। সংগীত জীবনে জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। যেমন- দীনেশ পদক, বন্ধন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট, শিল্পকলা একাডেমি থেকে সংগীত ও নাট্যকলা পুরস্কার প্রভৃতি।
১৯৭৩ সালের ২৮ মার্চ তিনি সুরাইয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিন মেয়ে। এ্যানি সিদ্দিকী, রেনি সিদ্দিকী ও গিনি সিদ্দিকী। তারা সবাই সংগীতের সঙ্গে জড়িত।