‘চট্টগ্রামে বিএনপির আমলেই বেশি উন্নয়ন হয়েছে’
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৩:৪৯,অপরাহ্ন ১০ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপির আমলে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কাজ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে শুরু করে দেশের প্রথম ভেটিরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় বিএনপির আমলেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কর্ণফুলী সেতু নির্মাণের সময় সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী হরতাল করেছিলেন। বিএনপি উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বিশ্বাসী।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. মনজুর আলমের সমর্থনে মহানগর শ্রমিক দলের কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০ দলীয় জোটের জন্য আন্দোলনের অংশ। এ নির্বাচনে সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট সরকারি অ্যাজেন্সিগুলোকে নিরপেক্ষ না রাখলে নির্বাচন পরবর্তী যে কোনো অশান্তির জন্য সরকারকেই দায়ভার বহন করতে হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারি সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকিতে ভয় পেলে চলবেনা। সাহসীকতার সঙ্গে সংকট মোকাবেলা করতে হবে।
এলাকাভিত্তিক কেন্দ্র কমিটিকে শক্তিশালী করতে হবে। যে যেখানে আছেন সকল মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী এজেন্টদেরকে সাহসী ও আন্তরিক হতে হবে।
মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলম বলেন, গত পাঁচ বছরে এলাকা ওয়ারী সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রয়াস চালিয়েছি। কারও প্রতি বৈষম্য কিংবা স্বজনপ্রীতি দেখানো হয়নি। সরকারি বরাদ্দ প্রত্যাশার চেয়ে কম পেলেও কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে উন্নয়ন কাজ করেছি। পাঁচ বছরে ৯০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে যা গত ২০ বছরের চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, আপনাদের ভোটে ও সমর্থনে এবার নির্বাচিত হলে রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে কার্যকর ও বাস্তবসম্মত উন্নয়নের উদ্যোগ নেবো।
বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এম এ নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সহ সভাপতি কাজী নুরুল্লাহ বাহার, ইদ্রিস মিঞা, তাহের আহমেদ, আবদুল্লাহ আল হারুন আকুঞ্জ, সামশুল আলম, মনজুর উদ্দিন, নুরে আলম লেদু, শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম সরকার, মো. শাহীন, আবদুর রাজ্জাক, মহসিন খান তরুন, মোশারফ হোসেন ডিপ্তি, আবদুল লতিফ ফারুকী, সুরুন্নবী, মো. হাসান, শফিকুল ইসলাম মজুমদার, আবু বকর ছিদ্দিকী, সাইফুল ইসলাম, ইয়াছিন উল্লাহ, আবু বকর ছিদ্দিকী, আবদুল মান্নান, খোরশেদ আলম মামুন, জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।