চট্টগ্রামে গ্রিল কেটে দেড়শ’ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৩:৪৮,অপরাহ্ন ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চট্টগ্রামে বাসার গ্রিল কেটে ভাই-বোনদের রাখা চার পরিবারের দেড়শ’ ভরি স্বর্ণ চুরির ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে প্লাটিনামের ডায়মন্ডের সেট, ৫শ ডলার, একশ ইউরো ও নগদ অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছে চোর চক্র। যার আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকার বেশি। নগরীর চকবাজারের আমীরবাগ আবাসিক এলাকায় সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সরোয়ার আলম খানের বাসায় গ্রিল কেটে ১৫০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
![চট্টগ্রামে বাসার গ্রিল কেটে ভাই-বোনদের রাখা চার পরিবারের দেড়শ’ ভরি স্বর্ণ চুরির ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ছবি প্রতীকী](https://sangbad21.com/files/uploads/2024/02/4ae9c9f67ea34fd6099f9fb6e54c5987ceef5561e244f2ab-300x169.jpg)
চট্টগ্রামে বাসার গ্রিল কেটে ভাই-বোনদের রাখা চার পরিবারের দেড়শ’ ভরি স্বর্ণ চুরির ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ছবি প্রতীকী
মো. আবদুল্লা আল আমীন
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত তিনটার দিকে এসআর ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, রাতে নগরীর আমিরবাগ এলাকায় অবস্থিত এস আর ভবনের দ্বিতীয় তলার পেছনের ঘরের বারান্দার গ্রিল কেটে চোর চক্র ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। এ সময় ঘরের আলমারি ভেঙে পুরো ঘর তছনছ করে চুরি করে নিয়ে যায় চক্রটি।
ব্যবসায়ী সরোয়ার আলম খান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে বাসায় আমি একা ছিলাম। আমরা পাচঁ ভাই-বোনের সব স্বর্ণ আমার বাসায় ছিল। পরিবারের বাকি সদস্যরা পিকনিকে যাওয়ার কারণে রাতে একাই ছিলেন তিনি। রাত তিনটায় গ্রিল কেটে চোর চক্র ঘরে ঢুকে তিন বোন ও এক ভাইয়ের রাখা চার পরিবারের দেড়শ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে একটি প্লাটিনাম ডায়মন্ডের সেট, ৫শ ডলার, একশ ইউরোসহ বেশি কিছু নগদ অর্থ চুরি হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকার বেশি বলে জানান তিনি।
চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর। তিনি বলেন, গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে চুরি করেছে চোর চক্র। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। চোরদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
চার পরিবারের রাখা দুর্ধর্ষ স্বর্ণ চুরির ঘটনায় হতবাক পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত চোর চক্রটিকে আইনের আওতায় এনে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারেরর দাবি তাদের। চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।