চট্টগ্রামের ১২২ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পেল ভারতের শিক্ষাবৃত্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৫:৪৪,অপরাহ্ন ৩১ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
চট্টগ্রামের ১২২ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন। শনিবার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে শিক্ষাবৃত্তির চেক তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার, ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশে (ডিফেন্স) পি সি নিমাইয়া, শহীদ জায়া মুশতারি শফি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার মো.সাহাবউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ভারতের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে। ভারত সেদিন সীমান্ত খুলে দিয়ে এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। সেদিন ভারত সত্যিকারের মিত্র হিসেবে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল যার ফলশ্রুতিতে এদেশ শত্রুমুক্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরও ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। ভারতের নি:স্বার্থ অবদান আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। যারা শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ এবং যোগ্য নাগরিক হয়ে উঠার আহ্বান জানাচ্ছি।
ভারতের সহকারি হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার বলেন, একাত্তরে দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা নিঃস্বার্থভাবে যুদ্ধ করেছেন। তাদের এই নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগকে আমরাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর ভারতীয় হাই কমিশন বাংলাদেশের ১৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ১২২ জন। এদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫০ জন এবং স্লাতক পর্যায়ে ৭২ জন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতি শিক্ষার্থীকে বার্ষিক ১০ হাজার এবং স্নাতক পর্যায়ে ২৪ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
মেয়ে শিক্ষাবৃত্তির চেক হাতে পাবার পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে আসা এক মুক্তিযোদ্ধা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। মো.গোলাম সারওয়ার নামে ওই মুক্তিযোদ্ধা বাংলানিউজকে বলেন, আমি অসুস্থ, অক্ষম। আমার কোন আয় নেই। ভারতীয় হাইকমিশনের এ বৃত্তি পাওয়ার ফলে আমার মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জুটল। আমি অনেকের কাছে সাহয্যের জন্য গিয়েছি, কেউ দুই টাকাও দেয়নি। ভারতীয় হাইকমিশনের বৃত্তি আমার জন্য বিরাট সহযোগিতা।
তার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন নোয়াখালী সরকারি কলেজে অর্থনীতি সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গতবারও পেয়েছিলাম। এবারও পেয়েছি। ভারতীয় হাইকমিশনের শিক্ষাবৃত্তি আমাকে ভালভাবে লেখাপড়া শিখে সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা যোগাচ্ছে।