চকরিয়ায় হাতি হত্যা, আসামির বাড়িতে গভীর রাতে হাতির পাল!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২২:২৮,অপরাহ্ন ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
চকরিয়ায় বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও এখনো কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। তবে আসামি গ্রেফতারে পুলিশের বদলে গভীর রাতে আসামির বাড়িতে হানা দিয়েছে একটি হাতির পাল। এ ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার দক্ষিন সুরাজপুর এলাকায় গত ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে দুর্বৃত্তরা একটি বন্যহাতিকে হত্যা করে। পরে মৃতদেহটি এলাকার তামাক ক্ষেতে মাটি চাপা দেয়। মাটি চাপা দেয়ার দুইদিন পর বন্যহাতির একটি পাল গভীর রাতে মাটি থেকে মৃত হাতির দেহটি উত্তোলন করেন। ১৭ ডিসেম্বর রাতে একই চক্র উত্তোলনকৃত হাতির দেহটি ফের মাটি চাপা দেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর সকালে ফাসিয়াখালী রেঞ্জের বনকর্মীরা তামাক ক্ষেতের মাটির ভেতর থেকে বন্যহাতির মরদেহটি উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর বনবিট কর্মকর্তা ফরিদ আহমদ বাদি হয়ে ২০ ডিসেম্বর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করেন।
মামলায় আসামি করা হয়, দক্ষিন সুরাজপুরের হাজী নুরুল কবিরের ছেলে জসিম উদ্দিন, ছৈয়দ নুর প্রকাশ লেদুর ছেলে আবু তৈয়ব, দক্ষিন কাকারা এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে, নুরুল আলম, নুরুন্নবী এবং আবদুল মান্নানকে।
এলাকাবাসি জানায়, মামলা হলেও আসামিদের মধ্যে কাউকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে পুলিশের বদলে আসামি গ্রেফতারে তাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে বন্যহাতির পাল। গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে বন্যহাতির একটি পাল মামলার আসামি আবু তৈয়বের বাড়িতে হানা দেয়। ওই সময় বাড়ির লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জানান, তাকে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন মামলার আসামি তৈয়বের বাড়িতে হাতির পাল হানা দিয়েছে। এঘটনার পর এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, বন্যহাতির হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে থাকায় গ্রেফতার করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে।