ঘনিয়ে আসছে অশুভ ১২তম ভূমিকম্প!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৪:১১,অপরাহ্ন ২৬ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
গতকাল শনিবার নেপাল থেকে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৪০০এর উপরে। এরমধ্যে নেপালেই মৃতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে। নিচে জেনে নিন ১১টি অশুভ ভূমিকম্প সম্পর্কে…
পাপুয়া নিউগিনি:
চলতি বছরের ২৯ মার্চ বছরের প্রথম বড় ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির ককোপোয়, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৭.৫। উৎপত্তিস্থল মূলত কোকোপে থেকে ৫৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পাহাড়ি অঞ্চলে।
হিহিফো, টোঙ্গা:
পরদিন ৩০ মার্চ সংঘটিত হয় বড় ধরনের ভূমিকম্পের দ্বিতীয়টি। এর মাত্রা ৬.৪। উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ভূমিকম্পের জন্যে অত্যন্ত অনুকূল ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্বলিত অস্ট্রেলীয় ভূস্তরের অন্তর্গত অঞ্চল টোঙ্গার মূল শহর হিহিফা থেকে ১০৯ কিলোমিটরা উত্তর-পূর্বে।
হিহিফো, টোঙ্গা:
পরবর্তী বড় ভূমিকম্পটিও একই অঞ্চলে সংঘটিত হয় একই দিনে, সকাল ০৮টা ৪৮ মিনিটে। এর উৎপত্তিস্থল হিহিফো থেকে ৯৯ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.৫।
হিহিফো, টোঙ্গা:
এ অঞ্চলটি ইতোমধ্যে বছরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে প্রমাণিত হয়ে গেছে। ৭ এপ্রিল তৃতীয় বারের মতো এবং বড় ভূমিকম্পের হিসেবে চতুর্থবারের মতো কেঁপে উঠে। এবার উৎপত্তিস্থল হিহিফো থেকে ১০৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। মাত্রা ৬.৩।
সিগেভ, ওয়ালিস এবং ফুতুনা:
টোঙ্গার প্রতিবেশী অঞ্চল, একই প্লেটে অবস্থিত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ১৭ এপ্রিল ওয়ালিস এবং ফুতুনার শহর সিগেভ থেকে ১৮৩ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এ কম্পন সংঘটিত হয়। যার মাত্রা ৬.৫। অস্ট্রেলীয় প্লেটের পূর্বসীমায় অবস্থিত এ অঞ্চলে এখনও ঝুঁকি রয়ে গেছে আরও ভূকম্পনের।
সুয়াও, তাইওয়ান:
তাইওয়ানের সুয়াও অঞ্চলে ২০ এপ্রিল সংঘটিত ভূমিকম্পনের মাত্রা ৬.৪। গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় শহর সুয়াও থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এর উৎপত্তিস্থল। এটি ফিলিপাইন সী প্লেটের অন্তর্গত। এর চারপাশে রয়েছে প্রশান্ত এবং ইউরেশিয়া প্লেট। ফিলিপাইন প্লেট একাধিক পৃথক প্লেট পরিবেষ্টিত ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা।
লাতা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ভানুয়াতু:
ভানুয়াতু ভীষণ এক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে গণমাধ্যমে কিছুকাল আগেই আলোচনায় এসেছে। এর উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নিকটস্থ লাতায় বড় ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হয় ২২ এপ্রিল। লাতা থেকে ১৫৮ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩ । এটি ভূকম্পপ্রবণ অস্ট্রেলীয় প্লেটের পূর্বাংশের অন্তর্ভুক্ত।
বেলা বেলা, কানাডা:
২৪ এপ্রিল কানাডীয় পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চল বেলা বেলায় সংঘটিত হয় ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প। মূল বেলা বেলা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ১৮২ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
লামজুং, নেপাল:
বছরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয় ২৫ এপ্রিল, নেপালের লামজুং থেকে পূর্ব দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায়। এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.৮। নেপালের এ অঞ্চলটিতে বড় ধরনের ভূপৃষ্ঠগত ত্রুটি রয়েছে। এখানে ভারতীয় প্লেটের ওপর ইউরোশীয় প্লেট উঠে রয়েছে। এবং পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী এটি বোঝা থেকে মুক্তি চায়। যা ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ভূমিকম্পের হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে।
লামজুং, নেপাল:
একই দিনে দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্পনে আক্রান্ত হয় নেপাল। এর মাত্রা ৬.৬। লামজুং শহর থেকে এর উৎপত্তিস্থল ৪৯ কিলোমিটার পূর্বাঞ্চলে। হিমালয় পর্বতশ্রেণী ভারতীয় এবং ইউরেশীয় ভূখণ্ড-এর মধ্যখানে ভূমিকম্পের বড় ধরনের প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে।
কোদারি, নেপাল:
নেপালের কোদারি থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে পাহাড়ি অঞ্চলে এর উৎপত্তিস্থল এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৬.৭। এ কম্পনের পর আরও রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার আরও একটি ভূকম্পন সংঘটিত হয়। তাই মহাদেশীয় ভূপৃষ্ঠগত সংঘর্ষ আগামী দিনগুলোতে ১২তম অশুভ ভূমিকম্পের আভাসই দিচ্ছে।