গোয়ালাবাজার সংঘর্ষ : ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেফতার কমপক্ষে ৪০
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৭:৪১,অপরাহ্ন ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: গোয়ালাবাজারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নিহত হওার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে ওসমানীনগর থানার এসআই আনোয়ার বাদী হয়ে ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেটের গোয়ালাবাজারে অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের দু’টি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ওসমানীনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান নিহত হয়েছেন। দেড় ঘন্টাব্যাপী চার দফা সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অনন্ত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ছাড়াও উভয় পক্ষের মধ্যেও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে শতাধিক রাউন্ড গুলি শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষ চলাকালে মহাসড়কে দীর্ঘ দুই ঘন্টা সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারস্থ সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। গোয়ালাবাজার অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন একটি শাখা দেয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল ১১টার দিকে শ্রমিকদের একটি অংশ লাঠিসুটা নিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর পর থেকে উভয় পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে উভয়পক্ষ স্বশস্ত্র অবস্থায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গোয়ালাবাজার উত্তর অংশের শ্রমিকদের সাথে ব্রাহ্মণ গ্রামের কিছু লোক এবং দক্ষিণ অংশের শ্রমিকদের সাথে করনসী গ্রামের কিছু লোক অংশ নেয়। ১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চার দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ব্যাপক গুলাগুলি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ওসমানীনগর থানার ওসি মোস্তাফিকুর রহমান, করনসী গ্রামের জুয়েল, রমজান, এমরান হোসেন, আহাদ মিয়া, আবদুল মতিন, আজাদ, ব্রাহ্মণ গ্রামের মুহিবুর রহমান, রুবেল, শানুর, মাহমদ আলী, আবদুল হামিদ, মতিন মিয়া সহ কমপক্ষে অর্ধশত লোক আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় আহত ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বুধবার রাতে সিলেটে জানাযা শেষে ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের লাশ কুমিল্লায় তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আজ বাদ যোহর জানাযা শেষে দাফন করা হবে।