‘খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার সরবরাহে বাধা দেয়া অবৈধ ও অনুচিত’
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৮:১৩,অপরাহ্ন ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার সরবরাহে বাধা দেয়া অবৈধ ও অনুচিত বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতির কক্ষের সামনে আইনজীবীদের প্রতীকী অনশনে সংহতি জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার যেটা করছে তা অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক, এতে সরকারের বদনাম হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে খাবার সরবরাহে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এ প্রতীকী অনশনের আয়োজন করে।
রফিক উল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দেয়া উচিৎ। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এরকম করা মোটেও উচিৎ নয়।’
সার্বজনীন মানবাধিকারে ঘোষণা পত্রের ২৫ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসার অধিকার আছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
একই কর্মসূচিতে বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার খাবার সরবরাহে বাধা দিয়ে সরকার মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।’
তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘অবিলম্বে খালেদার কার্যালয়ে খাবার সরবরাহ, নেতাকর্মীদের দেখা করার অনুমতি দিন। না দিলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। খালেদা জিয়া যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।’
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘খালেদা জিয়া যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন এ আন্দোলন স্বাধীনতার পর যত আন্দোলন হয়েছে তা থেকে ব্যতিক্রম। এটাকে মহাত্ম গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করা যায়।’
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরে ব্যারিস্টার রফিক উল হক পানি খাইয়ে আইনজীবীদের অনশন ভাঙান।
এসময় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা ও সুপ্রিমকোর্টে অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।