খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ইট ছুড়ে যুবক আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৪:৫৩,অপরাহ্ন ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে তার কার্যালয়ে এবার ইট ছুড়ে মেরেছে এক যুবক।
মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতোই বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকরা অবস্থান করছিলো। পরান নামের ওই যুবক আগে থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গেই কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে পুরোনো সংবাদপত্র বিছিয়ে বসেছিলেন। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ করেই একটি পুর্নাঙ্গ ইটের অর্ধেক অংশ নিয়ে কার্যালয়ের দিকে তেড়ে যায় সে। এ সময় তার হাতে থাকা ইট ছুড়ে মারে কার্যালয়ের দিকে। ইটটি কার্যালয়ের দেয়ালে লেগে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে মেঝেতে পড়ে যায়।
কার্যালয়ে দেয়ালের যে অংশে ইটটি লেগেছে তার ঠিক নিচেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় একটি ছবি লাগানো।
এ সময় তিনি মুখে বলতে থাকেন, ‘হরতাল-অবরোধ দিয়ে মানুষ পুড়ায় মারছিস। আমার ভাইরে মারছিস। তোরে ছাড়ব না।’ তার পরনে ছিলো ফুল হাতা গেঞ্জির ওপরে কোট আর জিন্সপ্যান্ট।
এ ঘটনার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে টেনে-হিচড়ে গাড়িতে ওঠান। প্রায় পাঁচ মিনিট গাড়িতে বসিয়ে রেখে তাকে অবশেষে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রায় একমাসেরও বেশি সময় নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য রোববার নিজস্ব ব্যবস্থায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কার্যালয়টির নিরাপত্তা বাড়াতে এর চারপাশের দেয়ালের উপরে লাগানো হয়েছে কাঁটা তারের বেড়া।
সিরাজগঞ্জের কাজী পাড়ার বাসিন্দা এই যুবক নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে সাংবাদিকদের কাছে পরিচয় দিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ইটটি যখন ছুড়ে মারা হয়, তখন কার্যালয়ে ওই স্থানের পাশেই তারা দাড়িয়ে ছিলেন। অল্পেরজন্য ইটটি তাদের শরীরে লাগেনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার না করায় এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদাজিয়াকে গুলি করতে অস্ত্র হাতে তার কার্যালয়ের সামনে এসেছিলেন মুফিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের’একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
ওই দিন মফিদুল একটি অস্ত্র বের করে বলেন, ‘সে (খালেদা জিয়া) কোথায়। হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করে নাই কেন? তাকে গুলি করে মারবো!’
ওই সময়ে মফিদুল ইসলামের এমন আকস্মিক আচরণে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের ভীতির সঞ্চার হয়। পরে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক দু’দিন আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিজ কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই ৩ জানুয়ারি রাত থেকে এখনও কার্যালয়েই অবস্থান করছেন তিনি। নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনে কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় তা পারেননি। পরে কার্যালয়ের ভেতর থেকেই অনির্দিষ্ট কালের অবরোধের ডাক দেন তিনি।