খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা যুক্তিযুক্ত: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৯:৩৬,অপরাহ্ন ২১ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া হুকুম দিয়ে মানুষ খুন করছেন। উনি ঘরবাড়ি ছেড়ে অফিসে থেকে হুকুম দিয়ে মানুষ মারছেন, আগুন দিয়ে পোড়াচ্ছেন। হত্যার হুকুমের দায়ে অভিযুক্ত করা যুক্তিযুক্ত আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি যাচাই করে দেখছে এবং তারা ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সাংসদ ক্যাপ্টেন (অব) এবিএম তাজুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তরের প্রথম ৩০ মিনিট প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ছিল।
গত কয়েকদিনের রাজনৈতিক সহিংসতায় ৩০জন মানুষ নিহত ও ৬ শতাধিক গাড়ি ভাংচুরসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে এবিএম তাজুল ইসলাম বলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া হুকুম দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এজন্য তাকে হুকুমের আসামি করে আইনের আওতায় আনা হবে কী না?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্য এটাই। যখন দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে রয়েছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভাবমূর্তি বাড়ছে; ঠিক সেই সময়ে কোনও ইস্যু ছাড়া বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা শুরু করেছেন। কথা নেই বার্তা নেই পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা- আমার প্রশ্ন কেন খালেদা জিয়া মানুষ হত্যায় নেমেছেন?’ তিনি বলেন, দিনমজুর, খেটে খাওয়া, ট্রেন-বাস যাত্রী সাধারণ মানুষের ওপর কেন এ আক্রমণ তা আমার বোধগম্য নয়।
এসব হামলার ঘটনায় আহতের চিকিৎসায় সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে দু’জনের চোখের চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিএনপি-জামায়াতের এসব পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ১৯৭১ সালের পাক সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে। এটা কোন রাজনীতি? তিনি আরও জানান, পুলিশ-বিজিবির বিশেষ পাহারায় বাস ও ট্রাক চালানো, রেললাইন পাহারা দেওয়ার জন্য আনসার নিয়োগসহ নাশকতা মোকাবেলার সর্বাত্মক চেষ্টা সরকার করছে। তা স্বত্ত্বেও চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা এ সন্ত্রাসীদের যেখানে পাবেন, ধরে পুলিশে সোপর্দ করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগাম তথ্য সরবরাহ করে জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করুন।