খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণে হট্টগোল
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১২:২৪,অপরাহ্ন ১৫ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর বিরোধিতা করে আদালতে হট্টগোল করেছেন তার আইনজীবীরা। বিএনপির লাগাতার অবরোধের মধ্যেই ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ চলছে।
গুলশানের কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ থাকায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেনেনি বলে তার হাজিরার সময় চেয়ে আইনজীবীদের করা আবেদন আমলে নেয় আদালত।
এ সময় খালেদার পক্ষে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ‘জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদের জবানবন্দি শোনা শুরু করলে হট্টগোল শুরু হয়।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।