খালেদার বিরুদ্ধে গ্যাটকো মামলার শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২৪:২৫,অপরাহ্ন ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: আলোচিত গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)এর এক আবেদনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির এই দিন ধার্য করেন আদালত।
আজ আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। তবে খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবী দেখা যায়নি।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির দিন ঠিক করে এই আদেশ দেন। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি এ মামলাটি কার্যতালিকায় ছিল। ওই দিন মামলাটি শুনানির জন্য আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছিলেন আদালত।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান গ্যাটকো মামলায় হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানির জন্য আবেদন করেন। তার আগের দিন ২৬ জানুয়ারি গ্যাটকোর দুর্নীতির মামলাটি পরিচালনার জন্য দুদকের পক্ষে নিয়োগ দেয়া হয় অ্যাডভোকেট খুরশদি আলম খানকে। যদিও তার আগে এই মামলায় আইনজীবী ছিলেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
প্রায় সাত বছর পর ২৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার খালেদার বিরুদ্ধে গ্যাটকো মামলা সচলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি কেন অবৈধ ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত নয় মর্মে হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানির জন্য এই আবেদন করে দুদক।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ও ঢাকার কমলাপুর টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালের ১০ জুলাই খালেদা জিয়া ও সাবেক ছয় মন্ত্রীসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় দুদক। এরপর চার্জশিটভুক্ত আসামি খালেদা জিয়াসহ আসামিদের কয়েকজন ওই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০০৭ সালে রুল জারি করেন। সাত বছর পর গতকাল ওই রুল শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। এ মামলায় খালেদা জিয়া বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
অভিযোগপত্র দায়েরের পর মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলাটি কেন বেআইনি ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রম দুইমাসের জন্য স্থগিত করেন। সময়ে সময়ে এই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়। হাইকোর্টের জারি করা ওই রুলের উপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।