খালেদার কার্যালয়ের সামনে ডিএমপির লাইভ ক্যামেরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫১:১৪,অপরাহ্ন ১৮ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আর্মড ফোর্সসহ বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে লাইভ ক্যামেরা। এদিকে সকল প্রকার নাশকতা রোধে রাজপথে সর্তক অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
এছাড়া, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের সড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে অন্যদিনের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সদস্য সংখ্যা। আনা হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ। লোকজন চলাচলের ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি। কেবল আবাসিক ভবনের বাসিন্দা ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে সংবাদকর্মীরাই খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে চলাচল এবং অবস্থান করতে পারছেন।
জানা যায়, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে রোববার সকাল সাতটা থেকে লাইভ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শনিবার রাতে মূল ফটকে আবার তালা লাগানো হলেও রোববার তা আর দেখা যাচ্ছে না।
যে কোন পরিস্থিতি সদর দপ্তরকে জানাতে পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যালয়ের সামনে লাইভ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করছেন কনস্টেবল কামরুল আহসান ও মোহাম্মদ মাবুদ। কামরুল আহসান জানান, আজ সারাদিন লাইভ ক্যামেরা থাকতে পারে।
এদিকে গুলশান জোনের ডিসি লুৎফর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ডিএমপি থেকে এ ধরনের কোনো ক্যামেরা বসানো হয়নি।
আজ রোববার সকাল থেকেই বারিধারা ডিওএইচএস, বনানী, হাতিরঝিল, নতুন বাজার, নর্দা-কালাচাঁদপুরসহ গুলশানে ঢোকার সব পথে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, রিকশা ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান নিয়ে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি থেকেই গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন খালেদা জিয়া। মূল ফটকে তখন থেকেই একাধিকবার তালা লাগানো ও খোলার নাটক করা হয়েছে। যদিও প্রথম থেকেই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে। সরকারের পক্ষ থেকে খালেদাকে অবরুদ্ধ করার কথা অস্বীকার করা হলেও কার্যালয় থেকে শুধু নিজ বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত তালাবদ্ধ। সেখানে কোনো নেতাকর্মীকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।