কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৯:৫৬,অপরাহ্ন ০৬ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ লোদীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে অবৈধ ঘোষণা
করেন।
গত বছরের ১০ জুন সিসিকের নিয়মিত সভায় উপস্থিত ২৯ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে ২৬ জন রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর প্যানেল মেয়র পদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব
তুলেন। এর প্রেক্ষিতে কয়েস লোদী হাইকোর্টে রিট আবেদন (নং ১১৯২৫/২০১৪) দায়ের করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর আজ বুধবার এই রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, গত বছরের ১০ জুন সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব অবৈধ এবং এর আইনী ভিত্তি নেই।
প্যানেল মেয়র (১) রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর রীট আদালতে শুনানিতে অংশগ্রহন করেন এডভোকেট শাহ এজাজ রহমান, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ চৌধুরী,
ব্যারিষ্টার আবিদুল হক। প্যানেল মেয়র (২) সালেহ আহমদ চৌধুরীর পক্ষে শুনানি অংশগ্রহন করেন ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস, ব্যারিষ্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী।
রায়ের ব্যাপারে প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিদ্যমান আইন বহির্ভূত ছিল। এর কোন সদুত্তর
না পেয়ে আমি আইনের আশ্রয় নেই। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তাতে সত্যের জয় হয়েছে। আজকে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।
এ ব্যাপারে এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, সিসিকের নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলে যাওয়ায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাময়িক
বরখাস্ত হওয়ার পর গত ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জেষ্ঠ্যতার ক্রমানুসারে প্যানেল মেয়র-১ কে সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ সংক্রান্ত
প্রজ্ঞাপন {নং ৪৬.০৭০.০২২.০০০০.২২৮.২০২১-০৮/১(৭)} জারি করে। অন্যদিকে মেয়র আরিফ তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দিয়ে যান প্যানেল মেয়র-২
এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরীকে। ফলে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতার তারই প্রেক্ষিতে সালেহ আহমদ চৌধুরী গত ১৯ জানুয়ারি একটি রিট আবেদন (নং ৩৬৫/২০১৫)
দায়ের কলেছিলেন।