ক্ষমা চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক-যুগ্ম সম্পাদক
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৬:৪৩,অপরাহ্ন ০৫ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এবং যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য প্রতিবেদন লেখা এবং তা প্রকাশ করায় তাদের তলব ও রুল জারি করেছিলেন আপিল বিভাগ। এ তলবে আজ সোমবার সকালে হাজির হন মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খান। তাদের পক্ষে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন ড. কামাল হোসেন। পরে আদালত তাদের নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইবেন কি-না জানতে চাইলে তারা মৌখিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খানকে সময় দেন আপিল বিভাগ। এ জন্য আদালত কার্যক্রমে বিরতি দেওয়া হয়।
বিরতির পর মতিউর ও মিজানুর লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে তাদের আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন আপিল বিভাগ।
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এবং যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে গত ১৫ ডিসেম্বর তলব করেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার তাদের আদালতে হাজির হয়ে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তলবের পাশাপাশি মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে রুলও জারি করেন আপিল বিভাগ। রুলে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বরের প্রথম আলোতে ‘প্রধান বিচারপতিকে বেছে নেওয়া’ শিরোনামে কলাম লেখেন মিজানুর রহমান খান। এটি তুলে ধরে ব্যারিস্টার সিরাজুম মুনিরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এ সংক্রান্ত আবেদন করার পর তলবাদেশ ও রুল জারি করেন আপিল বিভাগ।
আদেশ দেওয়ার আগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক এটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, আজমালুল হোসেন কিউসি ও এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের অভিমত জানতে চান আদালত। মাহমুদুল ইসলাম আদালতকে বলেন, যদি এ কলামে আদালত অবমাননার কোনো বিষয় থাকে তবে তাদেরকে শো’কজ বা তলব করেন।
আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, তিনি (মিজানুর রহমান খান) বারবার এ ধরনের আদালত অবমাননাকর কাজ করে আসছেন। সম্প্রতি আদালত অবমাননার জন্য তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায়ও হয়েছে। আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
কলামের একটি অংশ পড়ে শুনিয়ে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কলামটি লেখা ও প্রকাশের জন্য এমন একটি সময় বেছে নেওয়া হয়েছে, যখন বর্তমান প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষের দিকে। এ কলামের কারণে জনমনে বিচারাঙ্গন নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হতে পারে। আদালতের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টির জন্য এ কলাম যথেষ্ট।