কোকোর মরদেহ বাংলাদেশের পথে
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৪:৩২,অপরাহ্ন ২৭ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ট পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ বাংলাদেশের পথে রয়েছে।
সকাল ৮টায় তার মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ১০২ নং মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কোকোর মরদেহ পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বিমানবন্দরে কোকোর লাশ গ্রহণ করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
কোকোর মরদেহের সঙ্গে আসেন কোকোর স্ত্রী ও তার দুই মেয়ে। তার মামা শামীম এস্কেন্দার ও কোকোর দুই ফুফা। বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোকোর লাশ বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে আনা হবে। সেখানে বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের লোকেরা শেষ শ্রদ্ধা জানাবে। এরপরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে বাদ আসর কোকোর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। তারপারে আরাফাত রহমান লাশ বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বিএনপির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সারা দেশে আরাফাত রহমান কোকোর গায়েবানা নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোকোর গায়েবানা নামাজে জানাযায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
জানাযা শেষে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এর আগে কোকোর মালয়েশিয়ায় নিগারা সমজিদে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লন্ডনে ও আরাফাত রহমানের গায়েবানা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার বড় ভাই তারেক রহমান অংশ নিয়ে তার জন্য দোয়া করেন।
এদিকে কোকোর মৃত্যুতে বিএনপি সোম, মঙ্গল ও বুধবার তিন দিনের শোক পালন করছে। এ উপলক্ষে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। গুলশান কার্যালয়ে খোলা হয়েছে শোকবই।
শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২ টায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেয়ার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ মারা যান আরাফাত রহমান কোকা।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। থাইল্যান্ড যাওয়ার পর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান আরাফাত রহমান কোকো। সেখানেই শনিবার তিনি মৃতুবরণ করেন।