কোকোর জানাযা সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২৯:৩৩,অপরাহ্ন ২৭ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বায়তুল মোকাররমে আরাফাত রহমান কোকোর নামাজের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ১২ মিনিটে তার জানাযার নামাজ সম্পন্ন করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ শেষ জানাজার জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আনা হয়। মঙ্গলবার বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে কোকোর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে রওনা হয়। তারপর বেলা চারটা চল্লিশের দিকে কোকোর মরদেহ বায়তুল মোকাররমে এসে পৌছায়।
আগত নেতাকর্মীর ভিড় বায়তুল মোকাররম মসজিদ অতিক্রম করে বাইরে এসেও উপছে পড়ে। জানাজাকে কেন্দ্র করে আগত জনতার কারনে বায়তুল মোকাররমের আশেপাশের সবগুলো রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর থেকেই জানাজায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে সমবেত হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, গাজিপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এমএ মান্নানসহ অন্যান্য নেতারা জানাযায় অংশ নেন।
বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মো. সালাউদ্দিন কোকোর নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। জাতীয়তাবাদী ওলামাদলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টানা সাত বছর পর ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখে বাচ্চাদের মতো কাঁদলেন খালেদা। কোকোর মৃত্যু সংবাদ শুনার পর থেকেই তিনি অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছেন।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কোকোর মরদেহ বহনকারী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ১০২ ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
লাশের সঙ্গে ছিলেন কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে, মামা শামীম এস্কান্দার ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু।
উল্লেখ্য, শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু ঘটে।