কোকোর জানাজায় অংশ নেবে আওয়ামী লীগ : মায়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৬:৫৬,অপরাহ্ন ২৫ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর লাশ দেশে এলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার জানাজায় অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ‘সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট’ আয়োজিত হরতাল বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসা প্রসঙ্গে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি দল তারা সম্মান নিতেও জানে না, দিতেও জানে না। একজন মা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরেকজন মাকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্ত দরজা বন্ধ করে খালেদা জিয়া শুয়েছিলেন, যা খুবই দুঃখজনক এবং শিষ্টাচারবহির্ভূত। তবে আমরা জানাজায় যাব।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মায়া বলেন, ‘আপনার জীবদ্দশায় আর কোনো দিন আন্দোলন সংগ্রাম হবে না। কারণ এই শোকের দিনেও হরতাল ডাকেন। সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেন। পেট্রোলবোমা মেরে মানুষকে হত্যা করেন। এটা বিএনপির বেয়াদবী। এটা বড় দুঃখজনক।’ এদিকে, রাজধানীর পুরানা পল্টন পিকিং গার্ডেনে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের এক সভায় ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘ঢাকা পাহারা দিতে আমরা কমিটি করছি। কোনো এলাকায় যাতে পেট্টলবোমা না মারতে পারে সে প্রতিজ্ঞায় আমরা। কোথাও কোনো পেট্টলবোমা মারলে তাকে ধরে পুলিশে দেব।’ তিনি বলেন, ‘পেট্টলবোমায় মানুষ হত্যা করবেন, আর আমরা আপনার সঙ্গে আলোচনা করব, এটা চিন্তা করাও আপনার মহাপাপ। আপনার সঙ্গে আলোচনা হবে না, আমরা বলেছি। পাপের শাস্তি আপনি পাবেনই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামী লীগ হত্যাকারীদের কাছে মাথানত করবে না।’
সভায় খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ক্রমান্বয়ে আরও ঘুরে দাঁড়াবে। পেশাজীবীদের গতকালের মিছিল দেখে আমি বলতে পারি, মিছিল আরও বড় হবে। এই সমস্ত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা সেটাই নেব। এ ব্যাপরে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কোনো আপস বা আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না, এদের প্রতিরোধ করতে হবে।’ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, ‘লাথি মার সংলাপকে। প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্যবান, আল্লাহ তাকে একটা সুযোগ করে দিয়েছেন। না হয়, কীভাবে যেত! পরিস্থিতি খারাপ হত।’
সাম্যবাদী দলের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বাবুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরূল আহসান, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।