কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন হাসিনা-মোদী
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৭:৩০,অপরাহ্ন ০৭ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক ::
দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল লাইন চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কুলাউড়া-শাহবাজপুর ব্রডগেজ রেললাইনের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন। এ সংবাদে বড়লেখা, কুলাউড়া, জুড়ী ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সাধারন মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন এমপি জানান, কুলাউড়া-শাহবাজপুর ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া ও বিয়ানীবাজারের জনগনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন হুইপ।
উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল লাইনে ঘনঘন ট্রেন দূর্ঘটনা, কাঠের স্লিপার, সেতুসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ায় ২০০২ সালের ৭ জুলাই কর্তৃপক্ষ এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর রেলপথটির সংস্কারসহ ট্রেন চালুর দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিন এ সেকশনের সংস্কারসহ ট্রেন চালুর ব্যাপারে সরকারের উচ্চ মহলে চেষ্টা চালালে সম্প্রতি একনেকের বৈঠকে এ লাইনের সংস্কারে ৬৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়।
এলাকাবাসী ও রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, বৃটিশ আমলে নির্মিত আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের অর্ন্তভুক্ত কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল লাইন ভারতের পূর্বাঞ্চল শিলচর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এ লাইনে চলাচলকারী ট্রেন যাত্রীসহ মালামাল বহন করত। এ সেকশনে কুলাউড়া, জুড়ী, দক্ষিনভাগ, কাঁঠালতলী, বড়লেখা, মুড়াউল ও শাহবাজপুর ষ্টেশনের মাধ্যমে প্রতিদিন দু’বার ট্রেন সিলেট যাওয়া-আসা করত। এ লাইনে চলাচলকারী ট্রেন স্থানীয়ভাবে “লাতুর ট্রেন” নামে অধিক পরিচিত ছিল। ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার লোকসানসহ নানা অজুহাতে ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্যবসায়ী, নিম্ন, মধ্য আয়ের ও সাধারণ মানুষ পড়েন বিপাকে। পরবর্তীতে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রায় অর্ধ লাখ স্লীপারের মধ্যে ৮০-৯০ শতাংশ চুরি ও অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায়।