কিবরিয়া হত্যা মামলা দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি জন্য হবিগঞ্জ থেকে সিলেটে স্থানান্তরের নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৮:৫১,অপরাহ্ন ০২ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা হবিগঞ্জ থেকে সিলেটে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কগনিজেন্স কোর্ট-১ এর বিচারক নিশাত সুলতানা হবিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জেএম শাখার মাধ্যমে মামলাটি পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচ জন । এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিচারের জন্য মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি আদালতে পাঠানো হয়। বাদী পক্ষের বারবার নারাজির কারণে মামলাটির বিচারকাজ সম্পন্ন হয়নি। পুন:তদন্ত শেষে মামলাটি আবারো হবিগঞ্জের কগনিজেন্স আদালতে পাঠানো হয়।
২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন্নেছো পারুল সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি আব্দুল হান্নান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া গউছসহ ৩৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট প্রদান করেন।
কিন্তু চার্জশিটে আসামিদের কয়েকজনের নাম ও ঠিকানায় ভুল থাকায় ৫ম দফা সম্পূরক চার্জশিট প্রদান করেন তদন্ত কর্মকর্তা। কিবরিয়া হত্যা মামলার ৫ম দফা সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা ৩৩ জন। এর মধ্যে আট জন জামিনে রয়েছেন। ১৫ জন কারাগারে এবং ১০ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
হবিগঞ্জের আদালতে আইনী প্রক্রিয়া শেষে বিচারের জন্য প্রস্তুত হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি আদালতে বিচার হবে। ওই আদালতেই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হবে।
মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনে জিআরও বিপ্লব মামলাটি উপস্থাপন করলে বিচারক নিশাত সুলতানা জানান- মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত, বদলি হবে। আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুর উদ্দিন শাহিন ও এম এ মজিদ জানতে চান, কোন প্রক্রিয়ায় মামলাটি স্থানান্তরিত হচ্ছে।
এ সময় বিচারক নিশাত সুলতানা জানান, ইতোমধ্যে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মালামাল ক্রোকের আদেশ জারি হয়ে এসেছে। অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়াও সম্পন্ন। আমি মামলাটি জেএম শাখার মাধ্যমে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করছি। যেহেতু মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি আদালতে বিচারের জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে। সেই আদালতেই তা প্রেরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে আসমা কিবরিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলমগীর ভূইয়া বাবুল জানান, মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ২১ জুন মামলাটি শুরু হবে। ওই আদালত মামলাটি গ্রহণের পর ১৩৫ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হবে।