কিবরিয়া হত্যা মামলা : আরিফসহ ১৪ আসামীর তথ্য চেয়েছে আদালত
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩০:৫১,অপরাহ্ন ২৬ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলা ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকান্ডের মামলায় কারাগারে থাকা আসামীদের তথ্য চেয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানা শ্যোন এ্যারেস্ট এর শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। আদেশে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপারকে আগামী ২৩ জুনের মধ্যে এসব তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্ধারিত তারিখে কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত ৩৫ আসামীর মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নান, সিসিক মেয়র আরিফ, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছসহ কারাগারে থাকা ১৪ জনকে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানোর শুনানি হয়। শুনানীকালে বিবাদী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালেহ আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, আব্দুল হাই প্রমূখ। পরে বিচারক নিশাত সুলতানা আগামী ২৩ জুন প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদেশ প্রদান করবেন বলে জানান। গত ১২ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল তাদেরকে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এতে আহত হন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপিসহ ৪৩ জন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান এমপি বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ১৩ নভেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলায় ৩য় দফা সম্পূরক চার্জশীট প্রদান করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেটের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল। আসামীদের নাম, ঠিকানা ভুল থাকায় তা সংশোধন করে পরে আরো দু’দফা সম্পূরক চার্জশীট প্রদান করা হয়। কিন্তু বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলাটির এখনও সম্পূরক চার্জশীট প্রদান করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলমগীর ভূইয়া বাবুল জানান, ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সিআইডি’র তৎকালীন এএসপি মুন্সী আতিক আব্দুল কাইয়ুমসহ ১০ জনকে আসামী করে চার্জশীট প্রদান করেন। ওই চার্জশীটের উপর না-রাজি আবেদন করা হলে হাইকোর্ট তা স্থগিত করে রুল জারি করেন। গতবছরের ১৪ ডিসেম্বর রুল নিস্পত্তি করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট। এ প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তভার দেয়া হয় সিআইডির সিলেটের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুলকে। সিআইডির সিলেটের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশীটের সাথে এই মামলার খুব বেশি ব্যতিক্রম হওয়ার সুযোগ নেই। শীঘ্রই চার্জশীট প্রদান করা হবে।