কিবরিয়া হত্যামামলায় আরিফ কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৯:২৭,অপরাহ্ন ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এখন কারাগারে । মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিলো। তারই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ দিন আত্মগোপনে থেকে আজ সকালে তিনি আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে হবিগঞ্জ আদালতে হাজির হন। হবিগঞ্জের জৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম রোকেয়া আক্তারের আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মেয়র আরিফ বলেন, ‘আমার মা আর আমার শিশু বাচ্চা আছে। আমার বাবা বা চাচা কেউ নেই। আমার কোনো ভাইও নেই। আজকে আমার অভিভাবক শুধুমাত্র সিলেটের জনগণ। তারাই আমাকে বিপুল ভোটে সিলেটের মেয়র বানিয়েছে। শুধুমাত্র মেয়র নির্বাচিত হওয়ার কারণেই আমি আজ ফেরারি আসামি হলাম। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি আমার আল্লাহ এবং সিলেটের জনগণের উপর নির্ভর করলাম।’
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জি কে গউছ একই আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওই হামলায় আরো নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে অন্যান্যদের সাথে মেয়র আরিফের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছিলো।