কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়েছে ওবায়দুল কাদেরের,শরীরে ইনফেকশন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৮:২০,অপরাহ্ন ০৫ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কিডনিতেও সমস্যা ধরা পড়েছে। তবে সমস্যা তেমন বড় নয়। এ ছাড়া তার শরীরে সামান্য সংক্রমণও ঘটেছে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। সেখানকার চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান আওয়ামী লীগের উপ দপ্ততর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
আজ সকালে গণ্যমাধ্যমকে ব্যারিস্টার বিপ্লব, সোমবার হাসপাতালে পৌঁছানোর পর পরই সেখানকার চিকিৎসকরা জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।এতে দেখা গেছে, তার শরীরে কিছু সংক্রমণ রয়েছে।পাশাপাশি কিডনির সমস্যা পাওয়া গেছে। তবে বড় কোনো সমস্যা নয়। ডায়ালাইসিস দেয়ার প্রয়োজন হবে না। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সারা হয়েছে। এগুলোর ফলাফল আসলে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা।
মাউন্ট এলিজাবেথে অসুস্থ ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদের ও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসের রিজভী। সেখানকার ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. ফিলিপ কোহের তত্ত্বাবধানে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা চলছে। আইসিইউ ৩০০৮ নম্বর কেবিনে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস মন্ত্রীর চিকিৎসার সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।এর আগে সিঙ্গাপুরে বিমানবন্দরে নেয়ার পরই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এ সময় ওবায়দুল কাদেরর রক্তচাপ স্বাভাবিক ছিল বলে জানা গেছে। পাশাপাশি শারীরিক অবস্থাও ছিল স্থিতিশীল। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় তাঁকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স সিঙ্গাপুর পৌঁছায় এবং ৮টা ৫০ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব গৌতম চন্দ্র বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
রবিবার সন্ধ্যা থেকেই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। গতকাল এ অঞ্চলের খ্যাতিমান হৃদেরাগ বিশেষজ্ঞ ভারতের দেবী শেঠিও বিশেষ বিমানে করে উড়ে এসে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যান এবং তাঁর মতামত জানান। পরিবারের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে বিকেল সোয়া ৩টায় ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে অ্যাম্বুল্যান্সযোগে নেওয়া হয় বিমানবন্দরের উদ্দেশে।