কামারুজ্জামান নিয়ে সরকারের সমন্বয়হীনতার অভাব
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৮:১৬,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক: ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের দন্ড কায্যকর নিয়ে জেলকোড (কারাবিধির) ভূল ব্যাখ্যা সরকারের উচ্চ পয্যায়ের সমন্বয়হীনতার অভাব বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
রবিবার সুপ্রিমকোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ তিনি এই সব কথা বলেন।
শিশির মনির বলেছেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিমকোর্টের একজন স্বনামধন্য বিজ্ঞ আইনজীবী হয়েও হয়েও তিনি গত কয়েকদিন ধরে ভূল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জাতি ওনার কাছ থেকে এমনটি আশা করে না। আমরা মনে করি তিনি জাতিকে ভুল পথে পারিচালিত করবেন না।
শিশির মনির বলেন, আইনমন্ত্রী একজন বিঞ্জ আইনজীবী হয়েও জেলকোডের ৯৯১ ধারার অপব্যাখ্যা করছেন।
বস্তুত ৯৯১ ধারায় রায় শোনার দিন থেকে ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির নিকট ক্ষমার চাওয়ার বিধান উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন,নতুন জেলকোড অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানা গ্রহণ করার পর থেকে ১৫ দিন এবং পুরাতন জেলকোড অনুয়ায়ী ৭ দিনের বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন,আমরা আশা করি আইনের ভূল ব্যাখ্যা থেকে সরে আসবেন এবং নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত থেকে মুক্ত করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শিশির মনির বলেন,পূনাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কামারুজ্জামান রিভিউ দাখিল করবেন।তিনি বলেন,কামারুজ্জামান আমাদেরকে বলেছেন,রিভিউ করলে আদালতে কামারজ্জামান সুবিচার পাবেন।
উচ্চ আদালতে রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে কামারুজ্জামান সিন্ধান্ত নেবেন বলে জানান এ আইনজীবী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম,মতিউর রহমান আকন্দ,ফরিদ উদ্দিন খান,আসাদ উদ্দিন প্রমুখ।
শনিবার আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, জেলকোডের ৯৯১ ধারায় রায় শোনার দিন থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ৭ দিন সময় পান। সে অনুযায়ী রোববার কামারুজ্জমানের ক্ষমা চাওয়া দিন শেষ হচ্ছে। আইনমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাবে আজ ডিফেন্সের আইনজীবী এই সংবাদ সম্মেলন করেন।