কামারুজ্জামানের রাতেই ফাঁসি!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫১:৫০,অপরাহ্ন ০৬ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সকালে আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহালের আদেশ দেওয়ার সাথে সাথেই প্রশ্ন ওঠে আর কতক্ষণ সময় পাচ্ছেন কামারুজ্জামান। সে প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব না পাওয়া গেলেও প্রস্তুতি বলছে, আজ রাতেই হতে পারে ফাঁসি। কারা সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে অ্যাম্বুলেন্সে করে কারাগারের ভেতর একটি কফিনও পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাদের কাছে এখনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশ আসেনি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেছার আলম বলেন, অনুমতি পেলেই আমরা দ্রুত প্রস্তুতি নেব। স্বল্প সময়ের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের এক নিম্নমান সহকারী সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের ভেতরে চলছে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি। সরকারি নির্দেশ আসার পর যেন বিলম্ব না হয় সেজন্য কারা কর্তৃপক্ষ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছে। ইতোমধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কারাগারের ভেতরে কফিনও পাঠানো হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চও প্রস্তুত করে ফেলা হচ্ছে, এর ওপরে চলছে সামিয়ানা টানানোর কাজ। আর পুরো কাজটিই হচ্ছে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে। পাশাপাশি কারাগার ও এর আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসেও লিখেছেন, “. . . জেলকর্তৃপক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছি। আমাদের বাবা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সাথে শেষবারের মতো দেখা করার জন্য।”
এর আগে, সকালেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এরপর ‘যৌক্তিক’ সময়ের মধ্যে প্রাণভিক্ষা করতে পারেন কামারুজ্জামান। সেটা না করলে সরকারের সিদ্ধান্তে যেকোনও সময়ই কার্যকর হতে পারে ফাঁসির আদেশ। আর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন তারা সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা নিয়ে আসবেন। যদিও আবেদনের পর কারাকর্তৃপক্ষ তাদের টেলিফোনে জানিয়ে দেন, দেখা করা যাবে না কামারুজ্জামানের সাথে। তবে একই সাথে কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদেরকে কারাগারে বিকেল পাঁচটার ভেতরই দেখা করতে বলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরিবারসূত্রে জানা গেছে, তাদের মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া আছে এবং তারা পারিবারিকভাবে শেরপুরে দাফন সম্পন্ন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্তও নিয়ে রেখেছেন।
ব্যারিস্টার তুরীন আফরোজ বলেন, কারাকর্তৃপক্ষ কামারুজ্জামানকে চূড়ান্ত রায় জানানোর পর তিনি যদি প্রাণভিক্ষা চাইতে অস্বীকৃতি জানান, তবে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনও সময়ই রায় কার্যকর করা যেতে পারে। এ বিষয়ে আইনগত সময়ভিত্তিক কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
এদিকে রাতে ফাঁসি হওয়ার বিষয়ে আরও আলোচনা শুরু হয় যখন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্তব্য করেন প্রাণভিক্ষার জন্য কামারুজ্জামানকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার সময় দেওয়া হতে পারে।