কমলগঞ্জে টর্নেডোয় অর্ধশত ঘর বিধবস্ত; আহত-৩ : ব্যাপক ক্ষতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৭:৫২,অপরাহ্ন ২৯ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: আকষ্মিক টর্নেডোয় কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, পতনঊষার ইউনিয়নে বস্তি ও চা বাগান এলাকায় অর্ধশত ঘর সম্পূর্ন বিধাবস্ত ও প্রায় তিন শতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর ভেঙ্গে পড়ায় শিশুসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। অসংখ্য গাছ পড়ে দু’ইউনিয়নের তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় এ টর্নেডো বয়ে যায়।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ২টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে হঠাৎ করে টনের্ডো আঘাত হানে। টনের্ডোর আঘাতে শমশেরনগর বাজার ও চা বাগান এলাকায় ৪০ টি ঘর ও পতনউষারে ১০টি কাঁচা-পাকা ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর বিধ্বস্ত হয়ে শমশেরনগর বাজারে কুলসুম বেগম (৩০), শিশু ফারজানা (৫) ও সুমি (২) আহত হয়েছে। পুলিশ ফাঁড়ি, পতনউষার ইউনিয়নের ধূপাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শমশেরনগর কানিহাটি চা বাগানের নাচঘরসহ প্রায় তিন শতাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ১১মিনিটে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অসংখ্য পরিমাণে গাছ ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বেলা ১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দেক আলী, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ ও প্রকল্প কর্মকর্তা মোহা: আসাদুজ্জামান সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণ করেন। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশসনেসর পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ঘর মেরামতের জন্য পুলিশ ফাঁড়িতে নগদ ৫ হাজার, মনোয়ারা বেগমকে ৫ হাজার, শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন বস্তিতে ৩ হাজার, হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩ হাজার, ও শিংরাউলী গ্রামে মাফিয়া বেগমকে ২ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।
শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, শমশেরনগর রেলস্টেশন সংলগ্ন লাল গোদাম এলাকায় বটগাছের বড় ডাল ভেঙ্গে ঘরের উপর পড়ে মহিলা ও শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আবার রেল স্টেশন বস্তি এলাকায় বিধ্বস্ত ঘরের ভিতর থেকে বের হতে গিয়ে আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ১০ মিনিটের টর্নেডোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশী হবে। জনপ্রতিনিধিরা মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে সঠিক তথ্য দিলে উপজেলা ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সহায়তার নগদ অনুদান প্রদান করা হবে।