কথিত ছাত্রলীগ নেতার কান্ড : ইউ/পি তথ্য সেবা কেন্দ্র ভাংচুর ও লুটপাট
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৯:২৫,অপরাহ্ন ০৩ নভেম্বর ২০১৪
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্রের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার্স সহ একটি দোকানে ফিল্মি স্টাইলে সন্ত্রাসী হামলা করে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীর পুত্র তথা কথিত ছাত্রলীগ নেতা নামধারী কয়েছ ও তার বাহিনী কর্তৃক প্রায় ২লক্ষাধীক টাকার মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ত্ব্রী উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুরতে দু’পক্ষেও মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ার আশংকা করছে এলকাবাসী। জানাযায়, উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কামারগাও বাজারে ইউপি পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের কম্পিউটার অপারেটর ওই এলাকার বনকাদিপুর গ্রামের মওলানা জিল্লুর রহমানের পুত্র মনসুর আহমেদের মালিকাধীন ইউনিয়ন পরিষদের সন্নিকটে কামারগাও বাজারস্থ মান্না শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে পাওনা টাকার জের ধরে ওই এলাকার জিয়াপুর গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আরজু মিয়া পুত্র কয়েছ আহমদ তার দলবল নিয়ে খাদিজা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এন্ড কম্পিউটার্সে হামলা চালায়। এই দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী মনসুর আহমেদ ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্রের কম্পিউটার্স অপারেটর হিসাবে নিযুক্ত রয়েছে। এরই সুবাদে তার নিজস্ব মালিকানাধীন কম্পিটার দোকানে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের কম্পিউটার ল্যাপটপ, প্রিন্টার্স, ল্যামিনেটর সহ আরো জরুরী আসবাব পত্র ছিল। হামলাকারীরা মনসুর আহমেদকে হঠাৎ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উল্লেখিত পরিমানের মালামাল ভাংচুর সহ একটি মোবাইল আই ফোন সাড়ে ৮হাজার টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেন মনসুর আহমদ। এ ব্যাপারে মনসুর আহমেদ আরো জানান, তার পিতার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা দ্বার (কর্জ) নেয় কয়েছ আহমদ। ওই টাকা চাইতে গিয়ে তার সাথে মনমালিন্য চলে আসছিল। এরই জের ধরে সে ও তার লোকেরা হামলা লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ দিকে অভিযুক্ত কয়েছের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সরকার দলীয় ছাত্রলীগ নেতা! তিনি হামলা ও লুটপাটের কথা অস্বীকার করে আরো বলেন, আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটার আগামী বুধবার চেয়ারম্যান সাব সমন্বয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ছালিক মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সৃষ্ট ঘটনার সমাধানের চেষ্টা চলছে। ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষটি শুনেছি তবে এথনও কোন অভিযোগ পাইনি। ইউ/পি ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ জাহান সাজু এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কোন সদস্য বা নেতা কর্মী নয়। উক্ত ঘট অপরদিকে কামারগাও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, জিয়াপুর গ্রামে মাদক ব্যবসার দায়ে র্যাব ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধীক অভিযান পরিচালিত হয় ওই কায়েসদের বাড়িতে। তার বাবা আরজু মিয়া এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী।